█▒▒▒ ম্যাক নিউজ ▒▒▒█

“”মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি একজন আপনার সাধারণ কর্মী, নিজেদের কোন ভিটেমাটি নেই, শুধুমাত্র খেয়ে বাঁচার জন্য একটু সহযোগিতা চাই “”
এভাবে ভিটেমাটিহীন শাকিল,পরিবার নিয়ে বেচে থাকার তাগিদে,বাঁচার আকুতি জানিয়ে একটু সাহায্য সহযোগিতা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মোবাইল ফোন নম্বরে এসএমএস করেন কুমিল্লা নগরীর মুগলটুলির বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন শাকিল। ৭ ডিসেম্বর পাঠানো এই এসএমএসটি প্রধানমন্ত্রীর নজরে এলে,তারই নির্দেশে সোমবার কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোঃ অাবুল ফজল মীর ওই তরুণকে তার কার্যালয়ে ঢেকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ৪৫ হাজার টাকার একটি কম্পিউটার শাকিলের হাতে তুলে দেন।


শাকিল কুমিল্লার নগরীর মুগলটুলি এলাকার আবদুল হালিমের ছেলে। তার পরিবারের স্থায়ী ঠিকানা কুমিল্লার সদর উপজেলার পাথুরীপাড়া।
শাহাদাত হোসেন শাকিল জানান, কম্পিউটারে অনলাইনে কাজ করতে গিয়ে ওয়েবসাইটে প্রধানমন্ত্রীর নম্বরটি তার চোখে পড়ে। ওই ওয়েবসাইট থেকে নম্বরটি সংগ্রহ করেন তিনি। দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও একটি কম্পিউটার কেনার টাকা জোগাড় করতে না পেরে সহযোগিতা চেয়ে ওই নম্বরে তিনি এসএমএস পাঠান। গত ৭ ডিসেম্বর এসএমএস পাঠানোর একদিন পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শাকিলকে ফোন করা হয়। এর একদিন পরই তার খোঁজ খবর নেওয়া হয় কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) তাকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ঢেকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে একটি কম্পিউটার দেওয়া হয়।
কম্পিউটার পেয়ে শাকিল বলেন, ‘আমাদের কোনও ভিটেমাটি নেই। একটি কম্পিউটার কেনার সামর্থ্য ছিল না। আমি প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে অত্যন্ত খুশি। দোয়া করি তিনি যেন সুস্থ ও ভালো থাকেন।’
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর বলেন, ‘এই তরুণ তার পরিবারের জীবন নির্বাহের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তার এই এসএমএসটি। ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি ফোন নম্বরে তিনি এই এসএমএস করেন। দৃষ্টি আকর্ষণ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেন তাকে একটু সহযোগিতা করার জন্য। তাকে আমরা জিজ্ঞাসা করেছি কী সহযোগিতা পেলে তার জীবন সহজ হয়। আমাদের তিনি জানান গ্যাফিক্স ডিজাইনসহ তিনি কম্পিউটারের অনেকগুলো কাজ জানেন। তার দাবি ছিল যদি একটি কম্পিউটার কিনে দেওয়া হয় তাহলে পরিবারসহ ভালো থাকবেন।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘আমরা সেই লক্ষ্যে একটি সুন্দর জীবনের প্রত্যাশায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি কম্পিউটার কিনে দিয়েছি। আমরা মনে করি এই সহায়তায় পরিবারসহ শাকিল ভালো থাকবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *