█▒▒▒ মো: মহিউদ্দিন সরকার ▒▒▒█
কুমিল্লা জেলার বরুড়া আড্ডার পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা শরীফ হত্যা মামলার আসামি স্ত্রীসহ পরকীয়া প্রেমিক আশিককে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ।
আটককৃত আসামি, নিহত শরীফের স্ত্রী মোনালিসা হিমু (২৯) সিরাজগঞ্জ জেলার হোসেনপুর গ্রামের মো: আবদুল মান্নানের মেয়ে ও তার পরকীয়া প্রেমিক মো: আশিক (২৭) কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার ঝলম ইউনিউনের চেঙ্গাছাল গ্রামের নাসিরুল আলমের ছেলে।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, নিহত পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা শরীফ ও আসামীর চাচা সিনিয়র ইলেকট্রিশিয়ান রেজু মিয়া একই অফিসে চাকুরীর সুবাদে নিজেদের মাঝে একটি সু-সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। সেই সুবাদে নিহত শরীফের পরিবারের সাথে আসামী আশিকের পরিবারের একটি ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যার ফলে আসামী আশিক এবং নিহতের স্ত্রী হিমুর সঙ্গে সু-সম্পর্কের পাশাপাশি পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে এবং পাশাপাশি নিহতের অগোচরে তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় দৈহিক সম্পর্কে স্থাপন হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় নিহতের স্ত্রী হিমু ও আশিক যুক্তি পরামর্শ করে যে, নিহত শরীফ তাদের জীবনে না থাকলে তাদের পরকীয়ায় প্রেমে আর বাধা থাকবে না। তারই সুত্র ধরে উভয়ই পূর্ব থেকে পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৫ ই জানুয়ারী ২০১৯ আনুমানিক রাত সাড়ে ১২ টায় আশিক শরীফের বাসায় গেলে নিহতের স্ত্রী হিমু দরজা খোলে দিলে শরীফকে ঘুমন্ত অবস্থায় প্রথমে হাতুড়ি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে সে ছটফট করতে থাকলে তার মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য গলায় গামছা পেচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে নিহতের স্ত্রী হিমুকে হাত-পা বেধে রেখে আশিক বাসা থেকে বের হয়ে যায়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক ইকতিয়ার জানান, হত্যাকান্ডে বরুড়া থানায় মামলা হয়। পরে এর তদন্তবার জেলা গোয়েন্দা শাখার হস্তান্তর মামলাটি দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষণের পর হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত প্রকৃত আসামি নিহতের স্ত্রী মোনালিসা হিমুকে তার বাবার বাড়ি সিরাজগঞ্জ ও তার পরকীয়া প্রেমিক আশিকককে কুমিল্লা নগরী থেকে আটক করে আদালতে হাজির করা হলে অভয়ই আদালতে ১৬৪ ধারা হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা সীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে তিনি জানান।