[ ম্যাক নিউজ ]
কুমিল্লায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী “মুজিববর্ষ” উপলক্ষে জাতিরজনকের স্বপ্ন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতিতে ভূমি ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনে প্রথম দফায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘর পচ্ছেন ৩৫৯ পরিবার। সরকারের গুচ্ছগ্রাম ও দুর্যোগ প্রকল্পের দুই পর্যায়ে বরাদ্দকৃত ৫৯৫টি ঘরের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প হতে বরাদ্দ ১৯৩টি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে দুর্যোগ প্রকল্প হতে বরাদ্দ ৪০২ টির মধ্যে ১৫০টি ঘরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই দুই প্রকল্পের সম্পন্নকৃত ঘর এবং কুমিল্লার ধনাঢ্যব্যক্তিদের দেওয়া ১৬টিসহ ৩৫৯টি ঘর পাবেন ভূমি ও গৃহহীনরা। আগামী কাল (২৩ জানুয়ারী) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর এইসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভুমি ও গৃহহীন (ক) শ্রেণির পরিবার পুর্নবাসনে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের ১৯৩টি এবং দুর্যোগ প্রকল্পের ১৫০টিসহ এই প্রকল্পের ৩৪৩টি ঘরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দুর্যোগ প্রকল্পের আরও ২৫২টি ঘরের কাজ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এছাড়া কুমিল্লার ধনাঢ্যব্যক্তিদের দেওয়া ১৪৮টি ঘরের ১৬টি ঘরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সবমিলিয়ে শনিবার কুমিল্লার ৩৫৯টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের পর পরই।
তিনি আরও জানান, কুমিল্লা জেলায় তিন হাজার ১৭২টি ভূমি ও গৃহহীন রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রথমিকভাবে বাচাই করে প্রথম ধাপে ৩৫৯টি পরিবারকে ঘর দেওয়া হচ্ছে। পর্যায় ক্রমে জেলার সকল ভূমি ও গৃহহীনকে ঘরে তৈরি করে দিবে সরকার। কারণ এই সরকার চায় দেশে ভূমি ও গৃহহীন শূন্যস্থানে নামিয়ে আনতে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনের কুমিল্লায় চৌদ্দগ্রামে ২৮, নাঙ্গলকোট ১০, দাউদকান্দিতে ২৮, আদর্শ সদর ৩১, সদর দক্ষিণ ১৮, মনোহরগঞ্জে ১৮, দেবিদ্বার ৪৩, মুরাদনগরে ২৯, লাকসামে ১৭, মেঘনায় ১৫, লালমাইয়ে ৩৫, বুড়িচংয়ে ১৩, চান্দিনায় ১২, হোমনায় ১০, ব্রাহ্মণপাড়ায় ১২ এবং তিতাসে ১২ জন ভূমি ও গৃহহীন পরিবার ঘর পাবেন।
প্রেস বিফিংয়ে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ভূমি ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনে নির্মিত প্রতিটি ঘর নির্মাণে বাজেট ছিল মাত্র এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। এই টাকায় দুই কক্ষ বিশিষ্ট আধাপাকা ঘরের ভিতরে রয়েছে রান্নার ঘর, বাথরুম।
তিনি বলেন, আশাকরি সকলের সম্পৃক্ততায় কুমিল্লা জেলার প্রত্যকটি উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করতে পারবো। আমরা যে উন্নত বাংলাদেশে স্বপ্ন দেখছি, সেই স্বপ্ন যদি আমাদের বাস্তবায়ন করতে হয় সেই ক্ষেত্রে আমাদের যে দরিদ্র জনগোষ্ঠী আছে তাদেরকে পূর্বাসনের কোন বিকল্প নেই। পিছিয়ে পড়া মানুষকে যাতে আমরা মূল ¯্রােতধারার সাথে সম্পৃক্ত করতে পারি সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। শুধু এই নয় তাদেরকে আরও কিভাবে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত করা যায় এবং স্বাবলম্বী করে আমাদের দেশের অর্থনীতির চাকাকে আরও সচ্ছল করতে পারি, সেই লক্ষ্যেও আমরা কাজ করছি। মূল ¯্রােতধারার সাথে পিছিয়ে পড়া মানুষকে সম্পৃক্ত করে দেশে অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে চাই।
প্রেস বিফেংয়ে এসময় উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লার স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক শওকত ওসমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মো. মাঈন উদ্দিন ও কুমিল্লার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া আফরিনসহ কুমিল্লার কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।