[ ম্যাক নিউজ ]
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি বলেছেন, বিশ^ অনেক নেতা রয়েছেন রাষ্ট্রপ্রধান রয়েছেন কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো বিশ্বের একজন রাষ্ট্রপ্রধানও সাহস করে বলতে পারেননি ‘ দেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না ’। আমাদের প্রিয় নেত্রী ঘোষনা দিয়েছেন মুজিববর্ষে ৭ লাখ গৃহহীন পরিবারকে গৃহ প্রদান করা হবে। জমির দলিল খতিয়ানসহ ভূমিহীন পরিবারকে ঘর প্রদান কর্মসূচি অনেক সাহসী প্রদক্ষেপ। একসময় মুক্তিযুদ্ধের দেশী বিদেশী বিরোধী চক্ররা বলত বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুঁড়ি। তারা ভাবতেন বাংলাদেশ হয়ত টিকবে না। বঙ্গবন্ধু সাহসী নেতৃত্ব আর আন্তজার্তিক পরিমন্ডলে বঙ্গবন্ধুর গ্রহণযোগ্যতার কারণেই সীমিত সম্পদ নিয়ে বাংলাদেশ ঘুড়ে দাঁড়িয়েছিল। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন, বঙ্গবন্ধু সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা আজ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে কাজ করছেন। গৃহহীন মানুষকে ঘর তৈরী করে দিচ্ছেন। যারা বাংলাদেশকে একসময় তলাবিহীন ঝুঁড়ি বলতেন এখন তারাই বলছেন বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে কারণে।
গতকাল শনিবার সকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে হাজার হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। কুমিল্লার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমির দলিল ও ঘরে চাবি তুলে দেন কুমিল্লা সদর আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। এসময় তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপি বেগম রওশনারা মান্নান, আদর্শ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এড.মো. আমিনুল ইসলাম টুটুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিয়া আফরিন,ভাইস-চেয়ারম্যান তারিকুর রহমান জুয়েল সহ বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা সহ ইউপি চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিবৃন্দ। প্রধানমন্ত্রীর মুজিববর্ষে উপহার গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে ঘর ও জমি প্রদান উপলক্ষে শনিবার কুমিল্লার বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এদিকে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর জানান, শনিবার সকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ সময় কুমিলা জেলায় প্রথম পর্যায়ে ৩৫৯টি পরিবারকে নতুন ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যেমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে পুরো জেলায় ৩৪৩ টি পরিবারের মধ্যে চৌদ্দগ্রাম ২০টি, নাঙ্গলকোটে ৫টি, দাউদকান্দিতে ২০টি, আদর্শ সদরে ২৫টি, সদর দক্ষিণে ১০টি, মনোহরগঞ্জে ১০টি, দেবিদ্বারে ৩৫টি, মুরাদনগরে ২১টি, লাকসামে ৭টি, মেঘনায় ১০টি, লালমাই ৩০টি পরিবারকে নতুন ঘর হস্তান্তর করা হবে। এই পরিবারগুলোর জন্য ২ শতাংশ জমির ওপর দু’কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা ঘর তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ঘর তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। দু’ কক্ষ বিশিষ্ট টিনের ছাউনির ঘরটির সাথে রয়েছে রান্নাঘর, টয়লেট ও টিউবওয়েল। সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার ভিত্তিতেই গৃহহীনদের তালিকা করা হয়েছে। যারা নতুন ঘর পাবেন তারা কেউ এ ঘর বিক্রি বা ভাড়া দিতে পারবেন না। শুধু উত্তারাধিকারদের দিতে পারবেন।