[ ম্যাক নিউজ ডেক্স ]


কুমিল্লা দীর্ঘ দিন পলাতক থাকার পর অবশেষে গ্রেফতার হয়েছেন সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সাত্তার। তিনি কুমিল্লায় চাঞ্চল্যকর যুবলীগ কর্মী জিল্লুর রহমান চৌধুরী ওরফে জিলানী হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ২ নং আসামি। এছাড়াও ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন হত্যা মামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী। মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লার একটি টিম মঙ্গলবার বিকালে তাকে ঢাকা শাহবাগ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর কুমিল্লা কার্যালয়ে নিয়ে আসে। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিবিআই কুমিল্লার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।

পিবিআই সূত্রে জানা যায়, জিল্লুর রহমান চৌধুরী ওরফে জিলানী হত্যাকান্ডের পর দায়ের করা মামলার আসামি কাউন্সিলর আবদুস সাত্তার দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে পলাতক ছিলেন। একেক সময় তিনি একেক স্থানে অবস্থান করেন। পিবিআই কুমিল্লার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, কয়েক দিন ধরে তিনি ঢাকার শাহবাগ থানা এলাকায় অবস্থান করছেন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিকালে তাকে গ্রেফতার করার পর রাতে কুমিল্লায় নিয়ে আসা হয়। কাউন্সিলর আবদুস সাত্তার এ মামলার ২নং আসামি। হত্যাকান্ডের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে বুধবার (২৭ জানুয়ারি) আদালতে প্রেরণ করা হবে।

এদিকে রাতে মামলার বাদী ও নিহতের ছোট ভাই মোঃ ইমরান হোসাইন চৌধুরী মুঠো ফোনে জানান, অধিকাংশ আসামি জামিনে এসে লোকজন নিয়ে মামলা প্রত্যাহারের হুমকী দিচ্ছে। তিনি অবিলম্বে আসামিদের জামিন বাতিলসহ ঘটনায় জড়িত সকল আসামির গ্রেফতার দাবি করেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১১ নভেম্বর সকালে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার পুরাতন চৌয়ারা বাজারে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা জিল্লুর রহমান জিলানীকে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার দিন গভীর রাতে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহতের ছোট ভাই মোঃ ইমরান হোসাইন চৌধুরী। মামলায় মহানগর যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ শহিদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম ওরফে রিন্টু, সিটি করপোরেশনের বর্তমান কাউন্সিলর আবুল হাসান, আবদুস সাত্তার এবং সাবেক কাউন্সিলর খলিলুর রহমান মজুমদার ওরফে খলিলসহ ২৪ জনকে এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে ঘটনার দিন পুলিশ আব্দুল কাদের নামে এজাহারনামীয় এক আসামি এবং মামলাটি পিবিআইতে আসার পর নুরুল ইসলাম নামের একজনকে গ্রেফতার করে। এরই মধ্যে এ মামলায় এজাহার নামীয় ১৫ জন উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জন্য অন্তবর্তীকালীন জামিন লাভ করেছেন। গত ৩০ নভেম্বর থেকে মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *