[ ম্যাক নিউজ ডেস্ক ]
কুমিল্লার মেঘনায় আ’লীগের দুই গ্রূপের সংঘর্ষে নাজমা বেগম(৬০) নামের এক মহিলা নিহত, আর কয়েকজন আহত হয়েছে। নিহত নাজমা বেগম ভাওরখোলা গ্রামের আঃ সালামের স্ত্রী। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। আহতদের মে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল ১৯ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সন্ধ্যায় মেঘনা থানাধীন ভাওরখোলা গ্রামে ফারুক আব্বাসি ও আঃ সালাম গ্রুপের মাঝে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় হোমনা সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মোঃ ফজলুল করিমের নেতৃত্বে মেঘনা অফিসার ইনচার্জ, ফোর্স নিয়ে রাত্রে ভাওরখোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক আব্বাসী এবং তার ভাই খোকন আব্বাসী, ইমরান হোসেন টিটু, ইয়ার আব্বাসীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে কান্তা- বাশ ছাড়া ৬৭ টি.বড় ছোড়া ৯ টি,ছোট ছোড়া ৭ টি,ধামা ৪ টি, চায়না চাপাতি ৬ টি,কুড়াল ২ টি, বাশ সহ কান্তা ১০৬ টি. টেটা ১২ টি,রড-০২টি রয়েছে
মেঘনা থানা ও এলাকাবাসি সূত্রে জানাগেছে, এলাকার আধিপত্য নিয়ে আ’লীগ নেতা আঃ সালাম ও সিরাজ গ্রুপের সাথে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক আব্বাসী ও লিটন আব্বাসি গ্রুপের বিরোধ চলে আসছিল।
গতকাল আ: সালাম সস্ত্রীক ঢাকা থেকে গ্রামের ববাড়িতে বেড়াতে আসে। পরে আব্বাসি গ্রুপের লোকজ আঃ সালাম ও সিরাজ গ্রুপের লোকজনের উপর দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আঃ সালামের স্ত্রী নাজমা বেগম (৬০) নিহত হন ও আরো কয়েকজন গুরুতর আহত হন। নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সিনিয়র এএসপি (হোমনা – মেঘনা সার্কেল)মো. ফজলুল করিম জানান, মাননীয় পুলিশ সুপার মো.ফারুক আহাম্মদ পিপিএম(বার) এর নির্দেশে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বাদীর এজহার এখনও পাইনি। হত্যা ও অস্ত্র আইনে দুইটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। পুলিশের অভিযান অব্যহত আছে।