[ ম্যাক নিউজ ডেস্ক ]

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) রাত ৮টায় চান্দিনা উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের বদরপুর বাজারের কৃষি ব্যাংক শাখায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় অচেতন অবস্থায় ৪জনকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

তারা হলেন- ব্যাংকের ক্যাশ কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান (৩১), দ্বিতীয় কর্মকর্তা নওশের আলী (৫৫), কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম (৩২), নিরাপত্তা প্রহরী আমির হোসেন (৩২)।

আহত কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান জানান- অন্যান্য দিনের তুলনায় বুধবার কাজের প্রচুর চাপ থাকায় সেগুলো সামাল দিতে আমরা ৩জন কর্মকর্তা ও একজন প্রহরী ব্যাংকে কাজ করছিলাম। রাত অনুমান ৮টার দিকে আমার চোখ মুখ অন্ধকার করে বমি বমি ভাব লাগছিল। এসময় দেখি বাকিরা কেউ টেবিলেই মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ছে, আবার কেউবা বমি করছে। পরে আমি আর কিছুই বলতে পারবো না।

ব্যাংক ম্যানেজার রুহুল আমিন জানান- আমি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ব্যাংক থেকে বের হই। ওই সময় বিদ্যুৎ না থাকায় জেনারেটর চলছিল। রাত ৮টার দিকে নৈশ প্রহরী রফিকুল ইসলাম এসে দেখেন নিরাপত্তা প্রহরী আমির হোসেন বমি করে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। ভিতরে গিয়ে দেখেন বাকিদেরও একই অবস্থা। তাৎক্ষনিক আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানান। এসময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদেরকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করা হয়।

তিনি আরও বলেন- বুধবার বিকাল থেকে বদরপুর বাজারের পাশে একটি মাহফিল চলছিল। সেই সুবাদে সন্ধ্যার পর বাজার অনেকটাই জন শূন্য। আমরা ধারণা করছি, অজ্ঞান পার্টি কোন বিষক্রিয়া প্রয়োগ করে সকলকে অচেতন করে লুট করার চেষ্টা করেছিল। যথা সময়ে আমাদের ব্যাংকের নৈশ প্রহরী আসায় সকলকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং এতে আমাদের ব্যাংকের কোন প্রকার ক্ষতি হয়নি।

চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তানভীর হাসান জানান- যে চারজনকে আনা হয়েছে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সঠিক ভাবে তাদের অজ্ঞান হওয়া ও বমি করার কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। রোগীদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামসউদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান- খরব পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। লুটের কোন আলামত এখনও আমরা পাইনি। আহত সকলের সাথে পৃথক ভাবে কথা বলেছি। যারা বমি করেছে তাদের নমুনা সংগ্রহ করেছি। আমাদের তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *