[ ম্যাক নিউজ ]
কুমিল্লায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে জাতীয় বীমা দিবস-২০২১ উদযাপন করা হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য “মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার, বীমা হোক সবার” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ১লা মার্চ জাতীয় বীমা দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং ন্যাশনাল লাইফ উন্স্যুরেন্স কো: লি: এর সহযোগিতায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে সোমবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নুরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে এবং জেলা কালচারাল অফিসার সৈয়দ মুহম্মদ আয়াজ মাবুদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার পিপিএম। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের পর অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন অনুষ্ঠানের কো-অর্ডিনেটর এবং ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর লি: জনবীমা কুমিল্লা এরিয়ার কার্যালয়ের ডেপুটি ভাইস প্রেসিডেন্ট হেলাল আহমেদ। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীর জাতীয় বীমা দিবস-২০২১ যথাযথ ভাবে উদযাপনের জন্য আইডিআর এবং কুমিল্লায় অংশগ্রহনকারী ৩৯টি জীবন বীমা ও সাধারণ বীমা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশে বিগত ১৯৬০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম আলফা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে চাকুরী করেছিলেন। বর্তমানে তাঁর-ই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই বীমা পেশাকে আরো সমৃদ্ধিশালী ও গতিশীল করার লক্ষে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহন করেছেন যার ফলে আজ ১লা মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে তিনি ঘোষণা করায় দেশের সাধারণ মানুষের নিকট বীমার গ্রহন যোগ্যতা অনেকটাই ফিরে এসেছে। তাই আপনারা যারা মাঠে কাজ করেন তারা সাধারণ মানুষের আমানতের অর্থ সঠিক ভাবে সংগ্রহ করে মুনাফা সহ যথা সময়ে ফেরত দিবেন। তাহলে দেশের সাধারণ মানুষ এ পেশাকে আরো সম্মান দিবে এবং উপকৃত হবে। তিনি আরো বলেন-বীমা একটি মহৎ পেশা। দেশের বর্তমানে লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক রয়েছে যারা বীমা পেশায় কাজ করে সংসার চালায়। তাই দক্ষ ও প্রশিক্ষিত যুবক যুবতীদের কাজে লাগিয়ে জাতীয় অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করতে পারে বীমা প্রতিষ্ঠান সমূহ। এক সময় কুমিল্লাকে বলা হতো ব্যাংক ও ট্যাংকের শহর। বর্তমানে বলা হয় পথিকৃত কুমিল্লা। তাই বীমা পেশাতের কুমিল্লাকে আপনারা কাজের মাধ্যমে মডেল কুমিল্লা গঠনে সামনের দিকে এগিয়ে নিবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন-ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর প্রতিনিধি কুমিল্লা এরিয়া কার্যালয়ের যুগ্ম-ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: জসিম উদ্দিন ও জীবন বীমা কর্পোরেশনের কর্মকর্তা আজহারুল হক। আলোচনা শেষে বিভিন্ন ব্যানারে ও পেস্টুন নিয়ে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বিভিন্ন বীমা কোম্পানীর কর্মকর্তাগণ শোভাযাত্রা এবং নগরীতে বীমার প্রচার প্রচারণা করেন। অপরদিকে ভ্রাম্যমান ভাবে গ্রাহকদের মাঝে বীমা দাবীর বেশ কয়েকটি চেক বিতরণ করেন ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর কর্মকর্তাবৃন্দ