[ম্যাক নিউজ]
নেকবর হোসেন
কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা আধিপত্য বিস্তার ও ক্ষমতার দ্বন্দ্বে হত্যা এবং একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে আছেন সিটি করপোরেশনের ক্ষমতাসীন দলের চার ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
এর ফলে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ওয়ার্ডবাসী। জনপ্রতিনিধিদের এমন কর্মকাণ্ডে আতঙ্কিত নগরবাসী।
গত ১৯শে মার্চ যুবলীগ নেতা রোকন উদ্দিনকে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী ১৫ নম্বর কাউন্সিলর সাইফুল বিন জলিল। রোকনকে গাড়িচাপা দেয়ার পর একটি পেট্রোল পাম্পে গিয়ে দুই হাতে অস্ত্র নিয়ে উল্লাস করেন সাইফুল।
এছাড়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন ২৩নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন, ২৬নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি আবদুস সাত্তার ও ২৭নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি- কাউন্সিলর আবুল হাসান। নগরীর ৪টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কারাগারে থাকায় নাগরিক সেবা পাচ্ছেন না ওয়ার্ডবাসী।
ভুক্তভোগীরা বলেন, প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়ার জন্য কাউন্সিলর থেকে একটা স্বাক্ষর দরকার, কয়েকদিন ধরে ঘুরেও তা পাওয়া যাচ্ছেনা। কাউন্সিলর না থাকায় কোন ধরনের সেবাই পাওয়া যাচ্ছেনা।
ব্যক্তিগত কোন্দলের কারনেই নানা অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটছে। তবে নাগরিকদের সেবা দেয়ার ব্যাপারে করপোরেশন আন্তরিক উল্লেখ করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘জনগণ তাদের ভোট দিয়েছেন জনগণের সেবা করার জন্য। তারা ভোগান্তিতে পড়ছে এটা আমরা উপলব্ধি করছি। সেকারণে আমি নিজে সেগুলো দেখাভাল করছি।’
জনপ্রতিনিধিদের এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইনের যথাযথ প্রয়োগ করলে অপরাধ প্রবনতা কমে আসবে বলে মনে করে সচেতন নাগরিক কমিটি। সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি হোক আর যেই হোক, কেউ যদি কোন অন্যায়, অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে তাহলে তাদের আইনের আওতায় আনা হলে সবাই বুঝতে পারবেন যে, কেউই আইনের ঊর্ধে নয়।’
এরইমধ্যে এক কাউন্সিলরকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। নগরবাসীর দাবি, সকল কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শান্তির ব্যবস্থা করবে প্রশাসন।