[ম্যাক নিউজ ডেক্স]
প্রণোদনা প্যাকেজের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ীদের
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারির ক্ষতি পোষাতে সরকারঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আজ মোট ১২টি ব্যবসায়ী সংগঠনকে দাওয়াত দিয়েছিলাম, তারা সবাই উপস্থিত ছিল। তারা তাদের মতামত, সমস্যা ও প্রাপ্তিসহ সবকিছু আমাদেরকে জানিয়েছেন। মূলত যে বিষয়গুলো উঠে এসেছে, তার মধ্যে বেশিরভাগই ট্যাক্স রিলেটেড। অর্থ সচিবের নেতৃত্বে বাজেট নিয়ে আমাদের যে বাজেট টিম কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের বাজেটের যে রুপরেখা আছে সেখানে তাদের পরামর্শ নিয়ে দেশের জন্য যেসব পরামর্শ উপযোগী ও কল্যাণকর সরকার অবশ্যই সেগুলো বিবেচনায় নেবে। যে ধরনের দাবি এসেছে সেগুলো অযৌক্তিক বলব না, কারণ তাদের দাবির পরিমাণ তো বেশিই থাকে। আমরা কতটুকু দাবি নিতে পারব সেটি বাজেট টিম, ব্যাংক, এনবিআরসহ যারা আছে তাদের সাথে বসে সিদ্ধান্ত নেব।’
এসব ব্যবসায়ীদের বড় দাবিগুলো কী এবং এই সময়ে তারা কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড মহামারির জন্য গতবছর প্রধানমন্ত্রী ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। সেখান থেকে তারা (ব্যবসায়ী) উপকৃত হয়েছে, সেটি তারা অস্বীকার করেনি। তাদের দাবি হলো, যেহেতু এই করোনা এখনও আমাদের দেশে রয়ে গেছে, সেহেতু সমস্যাগুলো তাদের এখনও মোকাবিলা করতে হচ্ছে, তাই সেটার মেয়াদ আরও বাড়ানো যায় কি-না সেটা তাদের মূল দাবি।’
আগামী বাজেট সম্পর্কে কোনো রূপরেখা বা ধারণা দেয়া কি-না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘এ সম্পর্কে কোন ধারনা আজ দেইনি। আমাদের আরও অনেকগুলো মিটিং করতে হবে। এরপর আমি মোটামুটি একটা স্ট্রাকচার দাঁড় করাতে পারব। এবং সেই স্ট্রাকচার তৈরি হলে আমি ম্যাক্রো এবং মাইক্রো লেভেলের সমস্ত কোম্পানিগুলোকে সামনে নিয়ে আমার বাজেট টিমের সঙ্গে বসে চূড়ান্ত করে আপনাদের সামনে আসব। মূল বাজেটের আগে আমরা আইডিয়াটা দিতে পারব।’
আলোচনায় দি ফেডারেশান অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রেসিডেন্ট একেএম সেলিম ওসমান ও প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস্ এসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খোকন, বাংলাদেশ লেদার গুডস এন্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফাকচারারস এন্ড এক্সপোর্টারস এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম, মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি চেম্বার বিল্ডিংয়ের (এমসিসিআই) ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট রিজওয়ান রহমান ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এন কে এ মুবিন, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (সিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজ, বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট সেলিমা আহমেদ, ফরেন ইনভেস্টরস্ চেম্বার অব্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) প্রেসিডেন্ট রূপালী হক চৌধুরী, ওমেন এন্টারপ্রেনার এসোসিয়েশন অব্ বাংলাদেশের (ডব্লিউইএবি) প্রেসিডেন্ট শাহরুক রহমান ও প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মিজ আসফা হোসাইন, ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব্ বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) প্রেসিডেন্ট মিজ শমী কায়সার অংশ নেন।