[ ম্যাক রানা ]

করোনা সচেতনতায় ডিসি-এসপিকে নিয়ে আবারো রাজপথে এমপি বাহার।

বীরমুক্তিযোদ্ধা মাননীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, করোনা ও সার্বিক পরিস্থিতি কথা চিন্তা করে কঠোরভাবে মাঠে নামেন। তিনি আরো বলেন কঠিন পরিস্থিতিতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান আমাদের সকলকে আরো সচেতন হতে নগরবাসীর উদ্দেশ্যে এই কথা বলেন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে চলছে সরকারঘোষিত এক সপ্তাহের কঠোর বিধি-নিষেধ। শুক্রবার (৯ এপ্রিল) ছিল ঘোষিত বিধি-নিষেধের পঞ্চম দিন। তবে নামে কঠোর বিধি-নিষেধ হলেও কুমিল্লা নগরীর চিত্র ভিন্ন। গণপরিবহন চলছে, খুলে দেয়া হয়েছে শপিংমল ও মার্কেটও। প্রয়োজন-অপ্রয়োজনে বাইরে বের হচ্ছে মানুষ।

রোগতত্ত্ব ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। বের হলেও বাধ্যতামূলক মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বললেও তাতে ভ্রুক্ষেপই নেই মানুষের।

তবে দিনের বেলায় বিধি-নিষেধ মানার বালাই চোখে না পড়লেও সন্ধ্যা নামার পরই তা মেনে চলছেন অনেকেই। ফলে রাত নামলেই কুমিল্লা নগরীর চিত্র পাল্টে যাচ্ছে। সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যেই কুমিল্লা নগরীর সড়ক, অলি-গলিতে নেমে আসছে সুনসান নীরবতা। জনসাধারণের যাতায়াত একেবারে কম চোখে পড়ছে।

শুক্রবার (৯ এপ্রিল) রাতে সরেজমিনে নগরীর কান্দিরপাড় , পুলিশ লাইন, শাসনগাছা, বাগিচাগাঁও, স্টেশন রোড, এলাকায় দেখা গেছে, রাস্তাঘাটে সুনসান নীরবতা। ফাঁকা রাস্তায় ছুটছে পণবাহী ট্রাক। মোড়ে মোড়ে রিকশাচালক যাত্রীর জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

এদিকে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের পঞ্চম দিনে আজ শুক্রবার আবারও নতুন ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে এবার আর বিধি-নিষেধ নয়, সর্বাত্মক লকডাউনের পথে হাঁটছে সরকার। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এ লকডাউন কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

এর আগে সংক্রমণ ঠেকাতে ‘করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি’ দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের পরামর্শ দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *