[ নিউজ ডেস্ক]

রাজধানীতে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ নেওয়ার অভিযোগে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ।

শুক্রবার ওই চার র‌্যাব সদস্য গ্রেফতার হওয়ার পর র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে বলেছেন, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে হাতিরঝিল থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া চার সদস্যকে ইতোমধ্যেই র‌্যাবের কাছে আনা হয়েছে। তাদের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া র‌্যাবের ৪ সদস্যের বিষয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে যদি প্রমাণ পাওয়া যায় যে, তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাহলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত হবে।

খন্দকার আল মঈন বলেন, কোনো ধরনের সহানুভূতি দেখানো হবে না। এই পর্যন্ত র‌্যাবে যতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বাহিনী কোনো ব্যক্তির অপরাধের দায় নেয় না। র‌্যাবে অপরাধ করলে শাস্তি দেওয়ার গড় শতভাগ।

তবে গ্রেফতার হওয়া র‌্যাব সদস্যদের পরিচয় জানাননি এই কর্মকর্তা। তারা কোন ব্যাটালিয়নের জানতে চাইলে কমান্ডার মঈন বলেন, এরা নির্দিষ্ট কোনো ব্যাটালিয়নের নয়।

এর আগে শুক্রবার বিকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম বলেন, অপহরণ করে মুক্তিপণ নেওয়ার অভিযোগে ৪ র‍্যাব সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, এই অপহরণ চক্রে মোট ছয়জন সদস্য ছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজন হলেন সেনাবাহিনীর, একজন বিমান বাহিনীর, একজন বিজিবির ও আরেকজন সাধারণ মানুষ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে বিজিবির সদস্য ও সাধারণ নাগরিক পলাতক রয়েছেন।

হাতিরঝিল থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাইয়ানা হোসেন নামের এক তরুণী অভিযোগ করেন তার বড়ভাই তামজিদ হোসেন (২৭) তাদের মীরবাগের বাসা থেকে ৮ এপ্রিল সকাল ৯টায় উত্তরায় যাওয়ার কথা বলে বের হন। আনুমানিক দুপুর ১২টার দিকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তাকে ফোন করে র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে জানান তার ভাই তামজিদ র‌্যাবের হেফাজতে আছেন। থানা পুলিশ বা ডিবি পুলিশকে জানালে তার ভাইকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। এ ছাড়া ক্রসফায়ারও দেওয়া হতে পারে বলে হুমকি দেওয়া হয়। প্রাণে বাঁচাতে চাইলে ২ কোটি টাকা রেডি করতে বলেন র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী ওই অজ্ঞাত ব্যক্তি।

সূত্রঃ যুগান্তর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *