[ম্যাক নিউজ ডেস্ক]

পরিবারের সদস্যরা জানেন না ৬৫ বছর বয়সী আলী আকবর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কি না। তবে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য উপসর্গ আছে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার। শরীয়তপুরে চিকিৎসা না পেয়ে সোমবার (১২ এপ্রিল) দিবাগত রাতে আলী আকবরকে ঢাকায় এনেছেন পরিবারের অন্যান্যরা।

সারারাত ধরে রাজধানীর গ্রিন রোডের একটি হাসপাতালে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল তাকে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি এবং ব্যয়বহুল হওয়ায় বাধ্য হয়েই তাকে আজ (১৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আনা হয় রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। হাসপাতালে তখন আরও অনেক রোগীর ভিড়। এদিকে শ্বাসকষ্টে অস্থির হয়ে যাচ্ছিলেন আলী আকবর। এই অবস্থায় তাকে অ্যাম্বুলেন্সেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্সে থাকা অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে তাকে।

আলী আকবরের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন, মেয়েসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা ততক্ষণে আর্তনাদ করে বলছে, আমাদের এই রোগীকে ভর্তি নেন। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে তখনও আরও অনেক রোগীর ভিড়। একটি একটি করে রোগী দেখে ভর্তি নিচ্ছেন তারা। যেহেতু করোনা হাসপাতাল, তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিনিয়তই রোগী আসছে এখানে। অসংখ্য রোগীর ভিড় জরুরি বিভাগের সামনে।


রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে অ্যাম্বুলেন্সে বসে ভর্তির জন্য অপেক্ষা/ ছবি- ঢাকা পোস্ট

পরিবারের সদস্যরা জানেন না ৬৫ বছর বয়সী আলী আকবর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন কি না। তবে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য উপসর্গ আছে এই বীর মুক্তিযোদ্ধার। শরীয়তপুরে চিকিৎসা না পেয়ে সোমবার (১২ এপ্রিল) দিবাগত রাতে আলী আকবরকে ঢাকায় এনেছেন পরিবারের অন্যান্যরা।

সারারাত ধরে রাজধানীর গ্রিন রোডের একটি হাসপাতালে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল তাকে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি এবং ব্যয়বহুল হওয়ায় বাধ্য হয়েই তাকে আজ (১৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আনা হয় রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। হাসপাতালে তখন আরও অনেক রোগীর ভিড়। এদিকে শ্বাসকষ্টে অস্থির হয়ে যাচ্ছিলেন আলী আকবর। এই অবস্থায় তাকে অ্যাম্বুলেন্সেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্সে থাকা অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে তাকে।

আলী আকবরের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন, মেয়েসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা ততক্ষণে আর্তনাদ করে বলছে, আমাদের এই রোগীকে ভর্তি নেন। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে তখনও আরও অনেক রোগীর ভিড়। একটি একটি করে রোগী দেখে ভর্তি নিচ্ছেন তারা। যেহেতু করোনা হাসপাতাল, তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিনিয়তই রোগী আসছে এখানে। অসংখ্য রোগীর ভিড় জরুরি বিভাগের সামনে।


আলী আকবরের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন কান্নার সুরে বলেন, আমার স্বামীর খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। অনেকক্ষণ এভাবে নিয়েই অ্যাম্বুলেন্সে অপেক্ষা করছি। কিন্তু এখনও ভর্তি করাতে পারিনি। ধীরে ধীরে উনার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। উনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন। আজ তার বিপদে তাকে নিয়ে হাসপাতালের সামনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। করোনাকালীন সময় এভাবে অনেক রোগী এসে হাসপাতালের সামনে অপেক্ষা করছেন। সিরিয়াল অনুযায়ী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভর্তি করবেন বলে জানাল।

রোগী আলী আকবরের মেয়ের স্বামী সিরাজুল ইসলাম বলেন, সারারাত অন্য একটি হাসপাতালে আমার শ্বশুরকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল। করোনার উপসর্গ আছে তার। যে কারণে এই হাসপাতালে আসা। এখানে অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করে আছি। এদিকে শ্বশুরেরও শ্বাসকষ্ট আরও বাড়ছে। এখানে অনেক জায়গায় ঘুরে ঘুরে ভর্তির সিরিয়াল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। যে কারণে এখনও তাকে অ্যাম্বুলেন্সেই রাখা হয়েছে, সেখানেই তিনি অক্সিজেন নিচ্ছেন।

এদিকে কুর্মিটোলা হাসপাতালটিতে কর্মরত একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অনেক রোগী আসছে এখানে। সবাই করোনা সাসপেক্টেড। সিরিয়ালে অনেক রোগী, যে কারণে এক এক করে রোগী দেখে এরপর ভর্তি করাতে হচ্ছে। তাই কিছুটা সময় লাগে যাচ্ছে।

কেমন সংখ্যক রোগী এখানে আছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজ এখন পর্যন্ত ৩৮৮ জন রোগী এখানে ভর্তি আছেন। এই হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীর জন্য শয্যা রয়েছে ২৫০টি। আইসিইউ বেড রয়েছে ১০টি। আইসিইউতে এখন রোগী আছেন ১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন ৩৮ জন আর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩২ জন। অক্সিজেনের সিলিন্ডার সংখ্যা রয়েছে ৪৩৯টি, হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার সংখ্যা এখানে ২৭ এবং অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরের সংখ্যা ১০টি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *