[ম্যাক নিউজ ডেস্ক]

কুমিল্লা দক্ষিণ বাগিচাগাঁও মোঃ দুলাল মিয়ার মেয়ে ফারহানা আলম ঋতুকে গত ১৩ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১০টা বি-বাড়িয়া জেলা কসবা থানা নয়নপুর বেলতুলী গ্রামে স্বামী শশুর শাশুড়ি মিলে পিটিয়ে শ্বাশরুদ্ধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
কসবায় থানার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত আনুমানিক ২টায় ফারহানা আলম ঋতুর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার দুপুরে বি-বাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
ফারহানা আলম ঋতুর মৃত্যু খবর পেয়ে তার মা চিনুন বেগম বড় ভাই জানে আলম রাজু সহ এলাকায় লোক জন কসবা ছুটে যান।


জানা যায়,গত ১২ ফেব্রুয়ারি কসবা নয়নপুর বলতলী
মুক্তিযোদ্ধা নুরু মিয়া ছেলে কুমিল্লার ডিবি পুলিশ আমেনা খাতুন আঁখির ছোট ভাই হোমিও চিকিৎসক মোঃ দেলোয়ার হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। ২মাম ২দিন পর গতকাল মঙ্গলবার(১৩/৪/২০০২১) রাতে স্বামী দেলোয়ার হোসেন, তার পিতা নরু মিয়াসহ কয়েক জন মিলে ফারহানা আলম ঋতুকে পিটিয়ে শ্বাসরুদ্ধ হত্যা করে পালিয়ে যায়। কসবায় পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে। তার স্বামী, শশুর, শাশুড়ি সবাই পলাতক রয়েছে।
এদিকে ফারহানা আলম ঋতুর বড় ভাই জানে আলম রাজু জানান, আমার ছোট বোন স্বামীর থেকে নিজের বাড়িতে বেড়াতে আসে। আমার ছোট বোন আমার শশুর বাড়ীতে আমার মা সাথে বেড়াতে যাওয়ার কারণে তার ননশ কুমিল্লা ডিবি পুলিশ এএসআই আমেনা খাতুন আঁখি আমার মোবাইলে হুমকি দিয়ে বলে তোমার বোন কে যুদি তার শশুর বাড়ীতে না পাঠাও অনেক বড় সমস্যা করব। তখন আমি তার কাছে ক্ষমা চেয়ে বলি আমাদের কে মাফ করে দেন। পরে আমার বোনের শশুর মুক্তিযোদ্ধা নুরু মিয়া আমাদের বাড়িতে এসে আমার বোন ফারহানা আলম ঋতুকে নিয়ে যায়। পরে ১৩ এপ্রিল রাত ১২টা সময় তিনি আমাকে মোবাইল ফোন করে বলে তোমার বোনের অবস্থা ভালো না আবার বলে তোমার বোন মারা গেছে।
জানে আলম রাজু বলেন, বোনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে এ রাতে ছোটে যাই । গিয়ে দেখি পুলিশ বোনের লাশ সিএনজি দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

ফারহানা আলম ঋতুর মা চিনু বেগম বলেন, আমার মেয়ের শশুর নুরু মিয়া আমার কাছে যৌতুক চেয়েছে তার ঘর ফার্নিচার দিয়ে সাজিয়ে দিতে। মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তার স্বামী শশুর শাশুড়ি মিলে যৌতুকের জন্য পিটিয়ে শ্বাশরুদ্ধ করে আমার মেয়ে কে হত্যা করে তারা পালিয়ে যায়। আমার মেয়ে আমার বড় ছেলের শশুর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার ছেলের বোন কুমিল্লার ডিবি পুলিশ আমেনা খাতুন আঁখির সাথে বাকবিতন্ডা হয়। সে বলে আমার মেয়ে কে খুব দ্রুত স্বামীর বাড়িতে না পাঠালে সমস্যা করবে। আর বলে আমাদের অনেক পাওয়া আছে । তাঁরা পরিকল্পনা করে আমার মেয়ে কে হত্যা করে।
এদিকে কসবায় থানার পুলিশ জানান,লাশ ঘটনাস্থলে উদ্বার করে ময়না তদন্তের শেষে লাশ মা এবং ভাই য়ে কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফারহানা আলম ঋতুর লাশ বুধবার রাত সাড়ে সাতটায় কুমিল্লা বাগিচাগাঁও পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এদিকে ফারহানা আলম ঋতুর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You missed