[ম্যাক নিউজ] রিপোট কুমিল্লা নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি।


শুরু রমজান মাস। একই সাথে শুরু হচ্ছে সর্বাত্মক লকডাউন। ইফতার সামগ্রীসহ নিত্যপণ্য ক্রয়ের জন্য এ সময়ে কুমিল্লার বাজারগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। তবে দাম নিয়ে অসন্তুষ্টি রয়েছে ক্রেতাদের। কোথাও কোথাও বেশি দাম শুনে পাশের দোকানে চলে যান ক্রেতারা। ভোক্তা অধিদপ্তর বলছে, অতিরিক্ত দামের অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রবিবার সকালে কুমিল্লা নগরীর চকবাজার, রাজগঞ্জ, নিউ মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, গত সাপ্তাহের তুলনায় ইফতার সামগ্রী বিক্রি বেড়েছে। একই সাথে বেড়েছে দামও। প্রতিটি পণ্যের কেজিতে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত।

সাদা ছোলা ৭০ থেকে বেড়ে ৮০ টাকা, সাধারণ ছোলা ৫৫-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০, বেসন ৫৫ থেকে ৬০-৮০ টাকা। মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

এছাড়াও খোলা সয়াবিন তেল লিটার ১৩৫-১৪০ টাকা, সরিষার তেল ১৬০-২২০ টাকা, সাদা চিনি ৭০-৭৫, লাল চিনি ১১০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাতে ভাজা মুড়ি কেজি প্রতি ১২০-১৩০ টাকা, মেশিনে ভাজা মুড়ি কেজি ৭০-৭৫ টাকা, প্যাকেট মুড়ি কোম্পানি নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও দেশি পেঁয়াজ ৩৫, পেঁয়াজ এলসি ৩৫, দেশি রসুন ৬০টাকা, চায়না রসুন ১১৫-১২০টাকা, আদা ১১০, হলুদ ১৭০, মিনিকেট চাল ৬৫, নাজির শাইল চাল ৬০, শুকনা মরিচ ২৪০-২৫০ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে।

ইফতারের প্রতিদিনের সঙ্গী খেজুর। কুমিল্লার বাজারে বিভিন্ন শ্রেণির খেজুর দেখা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, সাধারণ খেজুর কেজি প্রতি ১১০ টাকা, জিহাদি ১৪০, সাইয়ার ১৬০-১৮০, বরই ২৩০, নাগাই ২৫০, লুুলু ৩৫০, সাফাভি ৬০০-৬৫০, আজওয়া বি ক্যাটাগরি ৯০০ ও মাবরুর ১২শ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

পিওর অনলাইন সপের স্বত্বাধিকারী মহিউদ্দিন আকাশ বলেন, আমার নিকট ৭-৮ প্রকারের খেজুর আছে। মানুষে দাম জিজ্ঞেস করে চলে যায়। বিগত বছরের মতো বিক্রি হচ্ছে না।

রাজগঞ্জ বাজারের জিলানী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী গোলাম জিলানী বলেন, চাহিদা বাড়লে দাম বাড়ে এটাই সূত্র। বাজার দর প্রতিদিন উঠানামা করে। যে পণ্য পাইকারি ক্রয় করেছি ১৩৫০ টাকা, তা এখন ১৬শ টাকা। মানুষ আসে দাম জানে, যাচাই করার জন্য পাশের দোকানিকে আবার প্রশ্ন করে। এ সময়ে বিক্রি কেমন হচ্ছে? এমন প্রশ্নে জিলানী বলেন, বিক্রি বেশি হচ্ছে, তবে লাভ কম হচ্ছে।

নগরীর নিউ মার্কেটে বাজার করেন কলেজ শিক্ষক সোলাইমান মজুমদার । তিনি বলেন, আমরা সীমিত আয়ের মানুষ। হঠাৎ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়, আমাদের তো আয় বাড়ে না। কিছু পণ্যের নেপথ্যে সিন্ডিকেট আছে, তারাই গোডাউনে মাল রেখে দাম বৃদ্ধি করে দেয়। দাম শুনে মনে হয়, সব কিছুর দাম বেড়েছে। কিন্তু করার কিছু নাই। না খেয়ে তো থাকতে পারবো না।

জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লা জেলার প্রধান মো. আছাদুল ইসলাম বলেন, নির্ধারিত দাম থেকে অতিরিক্ত দাম নেওয়ার সুযোগ নেই। জেলা বাজার কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছুটির দিনসহ যে কোন দিন, কুমিল্লার যে কোন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হতে পারে। এছাড়াও যে কোন ব্যক্তি আমাদের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন, আমরা বিষয়টি যাচাই করে দেখি। আর ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের প্রতি পরামর্শ ক্রয় রশিদ, বিক্রয় রশিদ নিজ সংগ্রহে রাখতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *