[ম্যাক নিউজ রিপোর্টঃ রফিকুল ইসলাম।]

কুমিল্লা জেলা সদর কোতয়ালী থানাধীন, বউ বাজার এলাকার গয়াম বাগিচা’র মইনুদ্দিন মিয়ার দ্বিতীয় ছেলে, চিন্হিত ছিনতাইকারি মোহাম্মদ জনি একটি সুইচ গিয়ার (চাকু) সহ কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছন। স্থানীয় সূত্রেঃ মোহাম্মদ জনি দীর্ঘদিন যাবৎ ছিনতাই ও চোরা কারবারি করে আসছেন। কুমিল্লা জেলা শহর একটি ব্যস্ততম শহর হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারী ও যানবাহন চলাচল করে।

এছাড়াও শাসনগাছা বাস স্টেশন, কান্দিরপাড়, টমছমব্রীজ ধর্মপুর রেলস্টেশন ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়ত করে হাজার হাজার মানুষ। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র স্টেশন ও গলিপথে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে বিভিন্ন যানবাহনের চালক, সাধারণ যাত্রী, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীসহ অনেকেই ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন। ঘাম ঝরিয়ে কষ্টে উপার্জন করা টাকা, মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করা হচ্ছে। বিভিন্ন কৌশলে ছিনতাই চক্রের সদস্যরা সাধারণ যাত্রীদের পকেট কেটে নিয়ে যাচ্ছে।

চিহ্নিত ছিনতাইকারী আরাফাত রহমানকে একটি চাপাতি ও একাধিক প্লাস সহ কোতোয়ালি থানাধীন হাউজিং এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

টাকা, স্বর্ণালংকার, দামি মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। চোখের সামনে এ চক্র নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে ছিনতাই কার্যক্রম। প্রায়ই ছিনতাইকারী ও পকেটমার চক্রের সদস্যদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে বাসিন্দারা। সর্বদা আতঙ্ক নিয়ে এ এলাকা দিয়ে চলাচল করে সাধারণ মানুষ। শহরের রাজগঞ্জ বাজার, কান্দিরপাড়, চকবাজার, টমছমব্রিজ সজ বিভিন্ন কাঁচাবাজার গুলোতেও অহরহ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।

তার’ই পরিপ্রেক্ষিতে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ এর সার্বিক দিকনির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ এর তত্ত্ববাধানে করোনা যুদ্ধের পাশাপাশি ছিনতাইরোধ ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত চলছে। তারই ধারাবাহিতায় চিন্হিত পেশাদার ছিনতাইকারী মোহাম্মদ জনিকে ১টি সুইচ গিয়ার (চাকু) সহ গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা শাখার এস আই পরিমল দাস এএসআই মোহমাদ আলি জিন্না ও এএসআই আরিফ হোসেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ইনচার্জ জনাব আনোয়ারুল আজিম বলেন প্রতিনিয়ত দু’চারজন ছিনতাইকারী ধরে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। ছিনতাইয়ের ঘটনা সম্পর্কে কোনো অভিযোগ পাওয়ামাত্র ব্যবস্থা নেয়া হয়। তাছাড়া ছিনতাইকারীদের নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সতর্ক আছে। গত কয়েকদিন জেলা শহর ও বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন পকেটমার ও ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ছিনতাই নির্মূলে তৎপরতা বাড়ানো ও টহল টিমের মাধ্যমে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান। উল্যেখ থাকে যে গ্রেফতারকৃত ছিনতাই আসামি মোহাম্মদ জনি’র বিরুদ্ধে মাদক, ডাকাতি ও ছিনতাই সহ আরও একাধিক মামলা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *