[ম্যাক নিউজ ডেস্ক]

রোববার সকালে তাকে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম জানিয়েছেন, রোববার দুপুরে তাকে ওই মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি।

গত কয়েকদিনে হেফাজতে ইসলামের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয়সহ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া কেন্দ্রীয় নেতাদের ২০১৩ সালে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বেশ কয়েকজনে রিমাণ্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তবে সাম্প্রতিক মোদি বিরোধী আন্দোলনের সময় সহিংসতার একাধিক ঘটনায় মামুনুল হকের নাম রয়েছে।

যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয় মামুনুল হককে

পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত তেসরা এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রিসোর্টকাণ্ডের পর থেকেই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। েই সময় থেকেই পুলিশ তার ওপর নজর রাখছিল।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ ও তেজগাঁও বিভাগের শতাধিক পুলিশ ওই মাদ্রাসাটা ঘিরে ফেলে।

এই সময় মাদ্রাসার ভেতরে শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী ছিলেন। প্রথমে তারা বাধা দেয়ার চেষ্টা করলেও অতিরিক্ত পুলিশের অবস্থান দেখে তারা হাল ছেড়ে দেয়।

মাদ্রাসার দোতলার একটি কক্ষ থেকে মামুনুল হককে নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে তোলা হয়।

এরপর প্রথমে তাকে তেজগাঁও ডিভিশনের ডিসির কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে মিন্টো রোডে ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, ‘গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম যৌথ অভিযানে মামুনুল হককে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের পর তাকে মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’

সূত্রঃ বিবিসি বাংলায় 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *