[ ম্যাক নিউজ ডেস্ক ]
মহানবীকে ব্যাঙ্গ করার অধিকার মামুনুলকে কে দিয়েছে, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মামুনুল হক সাম্প্রতিক সময়ে যে কর্মকাণ্ড করেছেন এবং ২০১৩ সালে হেফাজতের তাণ্ডবের সময় যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন, এগুলো দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য হুমকি স্বরূপ। একইসঙ্গে ইসলামের জন্যও হুমকি স্বরূপ। মামুনুল হক হযরত মোহাম্মদ (সা.) কীভাবে ঠোঁট নাড়াতেন, সেটা তিনি অভিনয় করে দেখিয়েছেন। অর্থাৎ রাসুলকে (সা.) তিনি ব্যাঙ্গ করেছেন। এ অধিকার তাকে কে দিয়েছে? এটা যদি অন্য কোনো লোক করতেন, তাহলে হেফাজতের নেতারা, যারা মামুনুল হকদের কথায় রাস্তায় নামেন, তারা কী করতেন?
সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে তার সরকারি বাসভবনে সীমিত পরিসরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মামুনুল হকের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
‘শুধু তাই নয়, হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমির মাওলানা আহমদ শফির মতো শতবর্ষী নেতাকে অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার অক্সিজেন টিউব খুলে নেওয়াসহ নানাভাবে হেনস্তা করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া, যেগুলোকে ডাক্তাররা তার মৃত্যুর কারণ বলেছেন- এ সব কিছুর নির্দেশদাতা হচ্ছেন মামুনুল হকরা’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, কয়েকজন মতলববাজ হুজুরের কাছে ইসলাম ধর্ম লিজ দেওয়া হয়নি।
এসময় বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা আব্বাস ফেসবুক লাইভ আলোচনায় যে কথাটি বলেছেন, মুখ ফসকে আসলে সত্য কথাটি বেরিয়ে এসেছে। যখন দলের মধ্যে সমালোচনার সম্মুখীন হলেন, কেন সত্য কথাটা বলে দিলেন, তখন তিনি আবার তার বক্তব্যের দায় গণমাধ্যমের ওপর চাপানোর চেষ্টা করলেন। মির্জা আব্বাসকে বলব, ভবিষ্যতে আরও সত্য কথাগুলো বলে দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি মুখ ফসকে সত্য কথাটি বলার জন্য মির্জা আব্বাসকে ধন্যবাদ জানাই।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে লকডাউন কার্যকর করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত যত্ন সহকারে কাজ করছে। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। তবে দায়িত্ব পালন করার সময় এটিও মাথায় রাখতে হবে, কেউ যেন অহেতুক হেনস্তার শিকার না হন।