[ম্যাক নিউজ ডেক্স]
ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের পর এবার দেখা দিয়েছে সার্স-কোভ-২ ভাইরাস বা করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন। নতুন এই ধরনটির দৌরাত্ম্যে ইতোমধ্যে ভারতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে তিন লাখের কোঠা, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। ভারতের পাশাপাশি ব্রিটেন, আয়ারল্যান্ড সহ কয়েকটি দেশে ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের এই নতুন ধরনটি শনাক্ত হয়েছে।
এতদিন পর্যন্ত জ্বর, শুকনো কাশি, মৃদু শ্বাসকষ্ট, ঘ্রাণশক্তি ও জিহ্বার স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়া— প্রভৃতিকে করোনার প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে ধরে নেওয়া হতো। প্রচলিত সাধারণ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে এই লক্ষণগুলো দেখা যায়।
তবে ভাইরাসটির ভারতীয় ধরনে আক্রান্ত হলে এগুলোর সঙ্গে আরো কিছু লক্ষণ যোগ হয় বলে প্রমাণ পেয়েছেন চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। নতুন এই ধরণগুলো হলো—বধিরতা বা শ্রবণশক্তি হ্রাস, মাংসপেশীর ব্যথা, ত্বকের সংক্রমণ, দৃষ্টিশক্তি খারাপ হওয়া, পেট খারাপ হওয়া এবং কনজেক্টিভাইটিস বা চোখে লালচে ভাব দেখা যাওয়া।
এতদিন পর্যন্ত জ্বর, শুকনো কাশি, মৃদু শ্বাসকষ্ট, ঘ্রাণশক্তি ও জিহ্বার স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়া— প্রভৃতিকে করোনার প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে ধরে নেওয়া হতো। প্রচলিত সাধারণ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে এই লক্ষণগুলো দেখা যায়।
এছাড়া ঘন ঘন মুখ গহ্বর ও গলা শুকিয়ে যাওয়াকেও করোনার নতুন লক্ষণ বলে উল্লেখ করেছেন বিষেশজ্ঞ ও জীবনুবিদরা। মুখের ভেতর গালের ওপর ঘা, ঠোঁটে ক্ষতের মতো ঘা দেখা দিলেও সতর্ক হতে বলেছেন তারা; কারণ করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরণ মুখ গহ্বারের পেশিতন্তুগুলো আক্রান্ত করে, যার ফলে তৈরি হয় ঘা।
মুখ-গলা শুকিয়ে গেলেও সাবধান হন অন্যদিকে মুখগহ্বর বারে বারে শুকিয়ে যাওয়াও করোনার নতুন লক্ষণ বলে জানা যাচ্ছে। শুকিয়ে যাচ্ছে গলাও। অন্যদিকে মুখের ভিতর গালের উপর ঘা, ঠোঁটে ক্ষতের মতো ঘা হলেও সাবধান হতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনার নতুন মিউটেন্টের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, এই মারাত্মক ভাইরাস মুখের ভিতর মাসেল ফাইবার গুলোকে আঘাত করছে। যার ফলে তৈরি হচ্ছে ঘা।
ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও জীবনুবিদরা জানিয়েছেন, কোনো ব্যক্তি যদি করোনার এই লক্ষণগুলো মৃদুভাবে অনুভব করেন, সেক্ষেত্রে তার হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই, বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিতে পারবেন তিনি। কিন্তু এই লক্ষণগুলো যদি মাঝারি বা প্রকট আকার নিতে থাকে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই অতিদ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।