[ম্যাক নিউজ রিপোর্টঃ-
নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি]
কুমিল্লার দেবিদ্বারের পৌর এলাকায় তালাবদ্ধ ফ্ল্যাট বাসা থেকে নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত তাসলিমা আক্তার (৩৫) পাশ্ববর্তী মুরাদনগর উপজেলার দক্ষিণ নোয়াগাও গ্রামের হোসেন মিয়ার মেয়ে।
গতকাল রাতে দেবিদ্বার পৌর বানিয়াপাড়া গোমতী আবাসিক এলাকায় ‘পুষ্পকুঞ্জ’ নামে একটি ফ্ল্যাট থেকে খয়েরি রঙয়ের বোরকা পরিহিত এই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় ফ্যানের সাথে ঝুলানো একটি সাদা ওড়নাসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়। শুক্রবার সকালে ওই গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহত নারীর ভাই সজিবুর রহমান ও পরিবারের অভিযোগ, ২০১৮ সালে দেবিদ্বার উপজেলার ওয়াহেদপুর গ্রামের আবদুস সালাম মিয়ার ছেলে মোঃ হাবিবুল্লাহ(৩৪) সাথে তার বোনের বিয়ে হয়। এরপর থেকে মুরাদনগর মধ্যপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিল। গত ২৪ এপ্রিল হাবিবুল্লাহ জানায় বোন বাজারে যাওয়ার পর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক খোঁজাখুঁজির নিখোঁজের সন্ধান চেয়ে মুরাদনগর থানায় ২৭ এপ্রিল একটি অভিযোগ করি। স্বামী হাবিবুল্লাহ দেবিদ্বারে বাসা ভাড়া করে আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে এবং তালাবদ্ধ ফ্ল্যাটে মৃত বোনকে রেখে আমাদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজাখুঁজির অভিনয় করেছে গত ৬দিন। গতকাল রাতে পুলিশের ফোন পেয়ে বিস্তারিত জানতে পারি।
তিনি আরও জানান, হাবিবুল্লাহ পেশায় সিএনজি চালক। রাফি নামে তাদের সংসারে একটি শিশু কন্যা সন্তান রয়েছে।
এর আগে ফ্ল্যাটটি বাহির থেকে তালাবদ্ধ ছিলো বলে জানায় পুলিশ ও বাড়ির মালিক। বাড়ির মালিকের মেয়ে ইউপি সদস্য জেসমিন আক্তার জানান, বৃহস্পতিবার ইফতারের পর ৪র্থ তলা থেকে মরদেহের দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তালা ভেঙে খাটের ওপর থেকে এই নারীর মরদেহটি উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে দেবিদ্বার সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার মো. আমিরুল্লাহ জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছি, মরদেহটি উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে প্রকৃত ঘটনার রহস্য জানা যাবে। এছাড়া ফোনের সূত্র ধরে তার পরিচয় সনাক্ত করে রাতে অভিযান চালিয়ে নিহত নারীর স্বামী মোঃ হাবিবুল্লাহকে তার শশুর বাড়ি থেকে আটক করা হয়।