[ ম্যাক নিউজ ডেস্ক ]

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনাপর্ষদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঋণ বিতরণে নয়-ছয়ের অভিযোগ ওঠে। ঋণের অর্থের পরিমাণও কম নয়, তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধানে নামে। কিন্তু ২০১৬ সাল থেকে চলা অনুসন্ধান কার্যক্রমে এখনও তেমন কোনো গতি আসেনি। 
প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদারসহ পরিচালনাপর্ষদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, নামে-বেনামে জনগণের আমানতের অর্থ লুটপাটের অভিযোগ থাকলেও টানা পাঁচ বছরে অনুসন্ধান কার্যক্রম শেষ করতে পারেনি দুদক। সংশ্লিষ্টরা জানান, দফায় দফায় অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা পড়লেও তা আর মামলায় গড়ায়নি। এর মধ্যে অনুসন্ধান পর্যায়ে নতুন নতুন অভিযোগও যোগ হয়েছে।

মাঝে পরিবর্তন হয়েছে অনুসন্ধান দলও। ২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকটির চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার মারা যান। তার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার প্রক্রিয়া এখনো শেষ করতে পারেনি সংস্থাটি। এ বিষয়ে দুদকের বক্তব্য হলো- করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব সংশ্লিষ্ট নেতিবাচক প্রভাব এবং নতুন নতুন অভিযোগ যোগ হওয়ায় অনুসন্ধান কার্যক্রমে এসেছে ধীরগতি।

জয়নুল হক সিকদারসহ ব্যাংকটির পরিচালনাপর্ষদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, নামে-বেনামে জনগণের আমানতের অর্থ লুটপাটের অভিযোগ থাকলেও টানা পাঁচ বছরে অনুসন্ধান কার্যক্রম শেষ করতে পারেনি দুদক। সংশ্লিষ্টরা জানান, দফায় দফায় অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা পড়লেও তা আর মামলায় গড়ায়নি। এর মধ্যে অনুসন্ধান পর্যায়ে নতুন নতুন অভিযোগও যোগ হয়েছে

দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মোজাম্মেল হক খান বলেন, পুরাতন অভিযোগের সঙ্গে নতুন নতুন অভিযোগ সংযুক্ত হলে আমাদের সিদ্ধান্ত থাকে যে, আগের অনুসন্ধানের সঙ্গে তা যোগ করে দেওয়া। চলমান অনুসন্ধান নিয়ে এ পর্যায়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় এখনো আসেনি। অনুসন্ধান শেষ হলেই বিস্তারিত বক্তব্য দেওয়া যাবে।

অন্যদিকে, দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে জানায়, ২০১৬ সালে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দুদক উপপরিচালক নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল তিন দফায় অনুসন্ধান প্রতিবেদন কমিশনের কাছে জমা দেয়। সর্বশেষ ২০২০ সালের প্রথম দিকে অভিযোগটি পরিসমাপ্তির (অভিযোগ থেকে অব্যাহতি) অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন জমা দিলেও কমিশন তা গ্রহণ করেনি। পরবর্তীতে ওই বছরের মার্চ মাসে দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল গঠন করে পুনরায় অনুসন্ধানের নির্দেশনা দেয় কমিশন।

পুরাতন অভিযোগের সঙ্গে নতুন নতুন অভিযোগ সংযুক্ত হলে আমাদের সিদ্ধান্ত থাকে যে, আগের অনুসন্ধানের সঙ্গে তা যোগ করে দেওয়া। চলমান অনুসন্ধান নিয়ে এ পর্যায়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় এখনো আসেনি। অনুসন্ধান শেষ হলেই বিস্তারিত বক্তব্য দেওয়া যাবে

মোজাম্মেল হক খান, কমিশনার (অনুসন্ধান), দুদক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *