[ ম্যাক নিউজ ডেস্ক ]
বুধবার দুপুর। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ধরে দ্রুত বেগে ছুটে চলছিল ঢাকা মেট্রো ব ১১-৩৯২৭ নম্বরের প্রাইভেট কারটি। গাড়িতে ছিল ওয়াহিদুল হক ও নাসিমুল হক নামের দুই শিশু। সঙ্গে তাদের বাবা ডা. জহিরুল হক ওরফে সুমন (৩৮) এবং মা রোজিনা আরজু ওরফে তুহিন (৩২)। পাশেই বসা জহিরুল হকের বড় ভাই ওবায়দুল হক, তার স্ত্রী নাসিমা বেগম এবং তাদের দুই সন্তান রিগ্যান হক ও রেহান হক। একই গাড়িতে পরিবারের আট সদস্য। একদিন পরই ঈদ। নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। গন্তব্য নরসিংদীর রায়পুরা।
সময় তখন দুপুর পৌনে ২টা। গাড়িটি নরসিংদীর শিবপুরের ইটাখোলা মোড় অতিক্রম করেছে। সামনেই সৃষ্টিগড় বাসস্ট্যান্ড, সেখান থেকে বাড়ি মাত্র কিলো চারেক পথ পরেই। এটুকু পথ পাড়ি দিলেই দেখা হবে প্রিয় বাবা এবং মমতাময়ী মায়ের সঙ্গে। কিন্তু সেই স্বাদ আর পূরণ হয়নি চিকিৎসক দম্পতির। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের চালকসহ ডা. সুমন ও তার স্ত্রী তুহিন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের আরও ছয় যাত্রী আহত হয়েছেন। তারা হলেন- নিহত চিকিৎসক দম্পতির দুই সন্তান ওয়াহিদুল হক ও নাসিমুল হক, নিহত সুমনের বড় ভাই ওবায়দুল হক, তার স্ত্রী নাসিমা বেগম এবং তাদের দুই সন্তান রিগ্যান হক ও রেহান হক। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা হতাহতদের উদ্ধার করে নরসিংদীর বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়।
দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের আরও ছয় যাত্রী আহত হয়েছেন। তারা হলেন- নিহত চিকিৎসক দম্পতির দুই সন্তান ওয়াহিদুল হক ও নাসিমুল হক, নিহত সুমনের বড় ভাই ওবায়দুল হক, তার স্ত্রী নাসিমা বেগম এবং তাদের দুই সন্তান রিগ্যান হক ও রেহান হক। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা হতাহতদের উদ্ধার করে নরসিংদীর বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়।
নিহত জহিরুল হক ওরফে সুমন নরসিংদীর রায়পুরার মরজালের মোবারক আলীর ছেলে। তিনি রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সস ও হাসপাতালের চিকিৎসক। আর রোজিনা আরজু রাজধানীর ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ (বারডেম) থেকে ডাক্তারিতে পড়াশোনা শেষ করার পর কোথাও চাকুরিতে যোগ দেননি। তাদের বড় ছেলে ওয়াহিদুল হকের বয়স আট বছর, ছোট ছেলে নাসিমুল হকের বয়স পাঁচ বছর। তারা রাজধানীর মগবাজার এলাকায় থাকতেন। এসব তথ্য জানিয়েছেন নিহত ডা. সুমনের স্বজন শামসুল হক। দুর্ঘটনায় নিহত প্রাইভেট কার চালকের নাম খোকন। তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
নিহত সুমনের ভাগনে মেহেদি হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ডা. সুমনের মা-বাবা মরজালেই থাকেন। তারা অসুস্থ ছিলেন। ডা. সুমন পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে নরসিংদীতে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঈদ করতে আসছিলেন।
ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নূর হায়দার তালুকদার বলেন, বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসের পাশ কাটাতে গিয়েই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এখানে দ্রুত গতি এবং কার আগে কে যাবে- এমন প্রতিযোগিতা চলছিল। বাসের ড্রাইভার-হেলপার কাউকেই আটক করা যায়নি। এ ঘটনায় পুলিশ কাজ করছে এবং সবকিছু খতিয়ে দেখছে।