[আন্তর্জাতিক ডেস্ক]
ইসরায়েল সরকারের কাছে অস্ত্রের চালান সরবরাহে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইতালির বন্দর শ্রমিকরা। ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলের বর্বর হামলা ও হত্যাযজ্ঞ চালানোর প্রেক্ষাপটে দেশটিতে অস্ত্রের চালান পাঠাতে সহযোগিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
ইতালির কন্ট্রোপিয়ানো নামের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অস্ত্রের একটি চালান ইসরায়েলে যাচ্ছে, এমন তথ্য পাওয়ার পর ইতালির লিভোরনো শহরের বন্দর শ্রমিকরা তাতে সহযোগিতা না করার সিদ্ধান্ত নেয়। স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, এই অস্ত্র তারা জাহাজে তুলবে না।
অস্ত্র ভর্তি কয়েকটি কন্টেইনার জাহাজে তুলে দেওয়ার জন্য বন্দর শ্রমিকদের বখশিশ দেওয়ার পর ওই শ্রমিকরা জানাতে পারে যে, এসব কন্টেইনারবাহী অস্ত্র ইসরায়েলের বন্দরনগরী আশদোদে যাবে। কন্টেইনারগুলো ছিল বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ।
কন্ট্রোপিয়ানো লিখেছে যে, এসব অস্ত্র ও বিস্ফোরক ফিলিস্তিনি জনগণকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত হবে। যাদের ওপর ইতোমধ্যে মারাত্মক মারাত্মক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ফলে উদ্বিগ্ন এসব শ্রমিক নতুন করে ইসরায়েলে আরও অস্ত্র পাঠানোর বিরোধিতার সিদ্ধান্ত নেয়।
হামাস শাসনাধীন অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েল বর্বরোচিত হামলা শুরু করার পর এখন পর্যন্ত ৫৫ শিশু এবং ৩৩ জন নারীসহ মোট ১৮৮ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে গাজায়। এছাড়া গাজা থেকে বিচ্ছিন্ন পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছে আরও ১৩ ফিলিস্তিনি।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ১৫ শিশুসহ আরও ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। রোববার ভোরের আগে গাজা শহরের প্রাণকেন্দ্রে ঘুমন্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করে ইসরায়েল। এ নিয়ে ইসরায়েল টানা সপ্তম দিন টানা গাজায় হামলা চালাচ্ছে।