[ম্যাক নিউজ রিপোর্টঃ-কুমিল্লা প্রতিনিধি]


কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কামাল্লা ইউনিয়নের দক্ষিন নোয়াগাঁও গ্রামে চুরির অপবাদ দিয়ে সোহাগ(১৭) নামের এক কিশোরকে গাছের খুঁটির সঙ্গে হাত-পা বেঁধে অমানুষিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠেছে। ওই নির্যাতনের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পরলে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার ও গ্রেফতারের দাবীতে এলাকায় ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে।
নির্যাতনের শিকার কিশোর সোহাগ(১৫) উপজেলার দক্ষিন নোয়াগাঁও গ্রামের মুন্সী বাড়ীর আল-আমীনের ছেলে। অভিযুক্তরা হলো, একই গ্রামের মোকবল হোসেনের ছেলে আশিক, মতিন মোল্লার ছেলে রুবেল ও আছমত আলীর ছেলে কামাল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাতে নোয়াগাঁও গ্রামের কামারচর মোড় এলাকায় হোসেনের ছেলে সজিবের দোকান থেকে একটি মোবাইল ও নগদ কিছু টাকা চুরি হয়। এ চুরির ঘটনায় আল-আমীনের ছেলে সোহাগ মোবাইল ও টাকা চুরি করেছে বলে সন্দেহ হলে বুধবার সকাল ৬টায় আশিক, রুবেল ও কামালের নেতৃত্বে একদল যুবক সোহাগকে তার বাড়ি থেকে আটক করে মোকবল মিয়ার বাড়ীতে নিয়ে যায় এবং সেখানে সোহাগকে গাছের খুঁটির সঙ্গে হাত-পা বেঁধে দিনব্যাপী অমানুষিকভাবে নির্যাতন চলায়। পরে একই এলাকার ধনু মিয়ার ছেলে নজরুল(১৫) কাছ থেকে মোবাইলটি উদ্ধার করে। র্নিযাতনে ঘটনা কাউকে না বলা ও কিছুদিন গ্রাম ছাড়া থাকার হুমকি প্রদান করে সোহাগকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সোহাগ বর্তমানে ভয়ে পলাতক রয়েছে।

এ বিষয়ে সোহাগের বাবা আল-আমীন অভিযোগ করে বলেন, আমি একজন প্রতিবন্ধি অসহায় লোক। ভিক্ষা করে সংসার চালাই। আমি গরিব বলেই আজ আমার ছেলে চুরি না করেও চোর হইতে হয়েছে। আমার ছেলেকে আশিক, রুবেল, মোকবল, হোসেন, হান্নান, কামালসহ আরো অনেকে বেঁধে রেখে সারাদিন মারদর করেছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
অভিযুক্ত মোকবল হোসেন তার বাড়িতে নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, যার দোকানে চুরি হয়েছে তারাই সোহাগকে আটক করেছে।

এ বিষয়ে মুরাদনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাদেকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি অবহিত নই। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *