[ম্যাক নিউজ ডেস্ক]
স্বাস্থ্য সেবা সচিবের অফিসে লাঞ্ছিত হন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। একটি কক্ষে পাঁচ ঘন্টা আটকে রেখে তার ওপর চালানো হয় নির্যাতন। তাকে হেনস্থা করা হয়। একজন অতিরিক্ত সচিব তার গলা চিপে ধরেছে, সেই ছবিও প্রকাশিত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৮ জনকে চিহ্নিত করেছেন। এই ঘটনার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতেও এই ৮ জনকে দেখা গেছে। আসুন এদের চিনে রাখি:
১. কাজী জেবুন্নেছা বেগম, অতিরিক্ত সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে কাজী জেবুন্নেছা রোজিনা ইসলামের গলা চিপে ধরছেন।
২. মিজানুর রহমান, পুলিশ সদস্য। এই পুলিশ সদস্যই রোজিনাকে সচিবের একান্ত সচিবের কক্ষে বসতে বলেন।
৩. জাকিয়া পারভীন, উপ সচিব, ঘটনার পরপরই জাকিয়া পারভীন এসে রোজিনার মোবাইল কেড়ে নেন এবং তার দেহ তল্লাশি করেন।
৪. শারমিন সুলতানা, সিনিয়র সহকারী সচিব, ঘটনাস্থলে রোজিনাকে হেনস্থা করেন।
৫. সাইফুল ইসলাম ভুইঞা, সচিবের একান্ত সচিব, এই ঘটনা ঘটেছে তার কক্ষে। তিনি ঘটনার অন্যতম আয়োজক বলে অভিযোগ রয়েছে।
৬. মোসাদ্দেক মেহেদী ইমাম, সিনিয়র সহকারী সচিব, ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি দরজা বন্ধ করে দাঁড়ান, কাউকে এমনকি সাংবাদিকদের ঢুকতে দেননি।
৭. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, অফিস সহায়ক, তিনি রোজিনাকে আটকে সবাইকে ডাকেন।
৮. সোহরাব হোসেন, অফিস সহায়ক, ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও দুজন:-
১. লোকমান হোসেন মিয়া, সচিব স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, তার অফিস এলাকায় ঘটনা ঘটে। তিনি ঘটনার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করেন নি, কথাও বলেন নি। এই ঘটনার দায় তিনি এড়াতে পারেন না।
২. মাইদুল ইসলাম, জনসংযোগ কর্মকর্তা, ঘটনার পর রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে তথ্য চুরির আনুষ্ঠানিক অভিযোগ সাংবাদিকদের জানান।