[ম্যাক নিউজ ডেক্স]

কুমিল্লায় মাদ্রাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশু মিম আক্তারের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন দুই আসামি।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাদ্রাসার দপ্তরি মো. কাইয়ূম এবং পাশের স্কুলের ঝাড়ুদার ময়নাল হোসেন শিশু মিমকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখেন বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ আমলি-২ আদালতের বিচারক ফারহানা সুলতানার আদালতে রোববার দুপুরে আসামিরা মিম হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন। পরে দুই আসামিকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা শাহ ইসরাফিল কামিল মাদ্রাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিশু মিমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে কাইয়ূম ও ময়নালকে আটক করে।

শিশুটির মা পারভিন আক্তার শনিবার রাতে বুড়িচং থানায় মামলা করেন।
আদালতে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামির স্বীকারোক্তি দেয়ার বিষয়টি জানান দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘ভারেল্লা শাহ ইসরাফিল কামিল মাদরাসার দপ্তরি কাইয়ূমের সঙ্গে শিশু মিমের পরিবারের বিরোধ ছিল। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে কাইয়ূম ঝাড়ুদার ময়নালকে সঙ্গে নিয়ে মাদ্রাসার একটি কক্ষে শিশুটিকে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন।’

গত বৃহস্পতিবার বাড়ির কাছের বাজারে গিয়ে নিখোঁজ হয় এলাকার শরীফ উদ্দিনের সাত বছরের মেয়ে মিম আক্তার। পরদিন শিশুটির চাচা মো. বশির বুড়িচং থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আবদুল্লা আল মামুন জানান, শিশুটিকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিতে আলামত ও ডিএনএ সংগ্রহ করে সিআইডির ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
মিম হত্যায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *