[ ম্যাক নিউজ ডেস্ক ]

উপকূলীয় ৩ লাখ ১৮ হাজার মানুষকে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি নিয়েছে ভোলা জেলা প্রশাসন। জেলার সাত উপজেলার ৪০ দ্বীপচরকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। 

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী। রোববার (২৩ মে) বিকেলে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৭০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৭৬ মেডিকেল টিম। সিপিপির ১৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ছাড়া রেডক্রিসেন্ট এবং স্কাউটস কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে আট কন্ট্রোল রুম।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে যাতে ক্ষয়ক্ষতি কম হয় সে লক্ষ্যে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সবাইকে সাহসিকতার সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার আহ্বান জানাই।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্বাস্থ্য বিভাগসহ জেলা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের কর্মকর্তা এবং মাঠ পর্যায়ের আনসার-ভিডিপি সদস্যসহ সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া প্রতিবন্ধী, নারী ও শিশুদের নিরাপত্তায় আলাদা টিম গঠন করা হবে। প্রস্তুত থাকবে ফায়ার সার্ভিসের ১৪ টিম ও স্বাস্থ্য বিভাগের ২০০ কমিউনিটি ক্লিনিক। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হবে। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুজিত হাওলাদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম আজাহারুল ইসলাম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ, জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, ভোলা প্রেস ক্লাব সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. হাবিবুর রহমান ও সম্পাদক অমিতাভ রায় অপু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *