[ম্যাক নিউজ]

কুমিল্লায় সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের চার মামলার আসামিসহ ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তাদের নিকট থেকে বিপুল পরিমাণ দেশিয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের একটি টিম নগরীর দক্ষিণ চর্থা (ভাঙ্গা বিল্ডিং) এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে। এ ব্যাপারে বিকালে থানায় মামলা হয়েছে এবং গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী।
পুলিশ জানায়, নগরীর দক্ষিণ চর্থা ভাঙ্গা বিল্ডিং এলাকায় ১০/১১ জনের সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত দল অস্ত্রশস্ত্রসহ ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে- গোপন সূত্রের এমন তথ্যের ভিত্তিতে পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) রাজীব চক্রবর্তীর নেতৃত্বে থানার এসআই মিঠুন সরকার, এএসআই হান্নান আল-মামুন, এএসআই রুবেল মাহমুদসহ পুলিশের একটি টিম ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে ৩ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় অপর ডাকাতরা পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হচ্ছে- জেলার আদর্শ সদর উপজেলার গাজীপুর গ্রামের বাবুলের ছেলে রাজন মিয়া (৩৮), নগরীর ২য় মুরাদপুর এলাকার সাদেক মিয়ার ছেলে সামির হোসেন (২৫) ও সদর দক্ষিণ উপজেলার রাজাপাড়া এলাকার হাবুল মিয়ার ছেলে শাকিল (২৩)। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করে। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- কাঠের বাটযুক্ত ২০ ইঞ্চি থেকে ২৬ ইঞ্চি লম্বা ৪টি রামদা, ১৫ ইঞ্চি ও ২২ ইঞ্চি লম্বা ২টি চায়নিজ কুড়াল, ১২ ইঞ্চি থেকে ১৫ ইঞ্চি লম্বা ৫টি ধারালো চাকু, ৩৫ ইঞ্চি লম্বা একটি স্টিলের পাইপ। কোতয়ালি মডেল থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, ‘গ্রেফতারকৃতরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। গ্রেফতার রাজন মিয়ার বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় ২টি, দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি ও লক্ষ্মীপুর জেলার সদর থানায় একটিসহ মোট চারটি এবং সামিরের বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জন ডাকাতের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। বিকালে গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *