[ম্যাক নিউজ ডেস্ক]
সিলেটের মৌলভীবাজারে কিশোরদের মধ্যে বেড়েছে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর প্রবণতা। ট্রাফিক আইন অমান্য করে পুরো জেলায় মোটরসাইকেল দাঁপিয়ে বেড়ানোটা যেন তাদের কাছে এক প্রকার ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। তাই বেপরোয়া মোটর সাইকেল চালানো বন্ধে এবার মৌলভীবাজারে কঠোরভাবে মাঠে নেমেছে জেলা পুলিশ।
শনিবার (৫ই জুন) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার শহরে অভিযান চালিয়ে শতাধিক মোটরসাইকেল আটক করেছে সেখানকার ট্রাফিক পুলিশ বাহিনী। অপরাধের ধরন অনুযায়ী দেয়া হয়েছে মামলাও।
এদিকে জানা গেছে, আটককৃত অধিকাংশই ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী এবং প্রবাসীদের সন্তান। তাদের অধিকাংশের মোটর বাইকের রেজিষ্ট্রেশন পাওয়া যায়নি। আবার তাদের অনেকেরই ছিল না ড্রাইভিং লাইসেন্স।
পুলিশ জানায়, ২০২১ সালের প্রথম ৪ মাসে জেলায় মোটর সাইকেলের রেজিষ্ট্রেশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও হেমলেট না থাকায় ২শ’ ৮৪টি মামলা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে জানুয়ারী মাসে ৬৪টি, ফেব্রুয়ারী মাসে ৭৯টি, মার্চ মাসে ৯৫টি ও এপ্রিল মাসে ৪৬টি মামলা দেয়া হয়।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিয়ন্ত্রণহীন গতিতে যানবাহন চালানো এবং অদক্ষ চালকের কারণে প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনা বাড়ছে। জেলায় ২০২০ সালে সড়ক দূর্ঘটনায় ১১ জন এবং ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ৭জন লোক মারা গেছেন। কিশোরেরা জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় বিভিন্ন রাস্থার মুড়ে জড়ো হয়ে প্রতিযোগীতা করে মোটর সাইকেল চালায়। যাদের বেশির ভাগ এরই কাগজপত্র নেই।
সচেতন মহল বলছেন, উঠতি বয়সী কিশোরেরা এমনভাবে গাড়ি চালায় তাদের গাড়ির শব্দ এবং দ্রুতগতির বেপরোয়া চালানো দেখে অনেকেই হতবাক হচ্ছেন। তারা সেই যানজটের ভেতর দিয়েও ট্রাফিক নিয়ম না মেনে বেপরোয়াভাবে মটর সাইকেল চালিয়ে থাকেন। তাদের কারণে রাস্তায় আরো বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যপারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, উঠতি বয়সী এসব তরুণদের বেপরোয়া সাইকেল চালানোর কারনে জেলায় অনেক দুর্ঘটনা হচ্ছে। সড়কে বিশৃংখলার সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকের মটর সাইকেলের কাগজপত্র নেই, ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই। বেপরোয়া সাইকেল চালানো বন্ধ ও দূর্ঘটনা রোধে এই কঠোর অভিযান।