[স্টাফ রিপোর্ট]


কুমিল্লার লাকসামে নবম শ্রেণিতে পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে লাকসাম থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহৃত ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এছাড়া মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। তবে মামলার বাকি পাঁচজন আসামি এখনো রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
অভিযোগ রয়েছে, বর্তমানে আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

আসামিরা ভুক্তভোগী পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে। অপহরণের শিকার মেয়েটি পাশের খিলা গণউদ্যোগ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ জুন প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় ওই ছাত্রী অপহরণের শিকার হয়। এরপর ৫ জুন লাকসায় থানায় মামলা দায়ের করে ছাত্রীর মা। মামলায় পাশের মনোহরগঞ্জ উপজেলার খিলা ইউনিয়নের খিলা গ্রামের বদিউল আলমের ছেলে মো.তানভীর হোসেন, একই গ্রামের বাবুল মিয়া ওরফে বাবুল মেম্বারের ছেলে নাজমুল হাছান বাপ্পীসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়। থানায় মামলা হওয়ার পরদিন (৬ জুন) পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি বখাটে তানভীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে এবং অপহরণের শিকার ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। তবে বখাটে নাজমুল হাছান বাপ্পীসহ অপর আসামিরা এখনো অধরাই রয়ে গেছেন।
মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, মামলার প্রধান আসামিরা তাঁর মেয়েকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে প্রায় সময়ই উত্ত্যক্ত করতো এবং কু-প্রস্তাব দিতো। এক পর্যায়ে তারা মেয়েটিকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় অপহরণ করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা জানায়, মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার হলেও অপর আসামি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। আসামিদের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় তারা ভুক্তভোগী পরিবারটিকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। তাই অপর আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
বুধবার বিকেলে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লাকসাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনোজ কান্তি জানান, থানায় মামলা হওয়ার পরদিন আমরা অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ছবি: কুমিল্লা লাকসামে স্কুল ছাত্রী অপহরণে অভিযুক্ত তানভীর হোসেন ও নাজমুল হাছান বাপ্পী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *