[ ম্যাক নিউজ ডেস্ক ]
সাভারের আশুলিয়ায় নিজের অবৈধ অস্ত্র চাচার পরিত্যক্ত গ্যারেজে রেখে র্যাবকে খবর দিয়ে ফেঁসে গেলেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি। মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মিরপুর র্যাবের সিনিয়র এএসপি জিয়াউর রহমান চৌধুরী।
এর আগে সোমবার (১৪ জুন) রাত সাড়ে তিনটার দিকে শিমুলিয়া ইউনিয়নের রনস্থল গ্রাম থেকে রবিকে আটক করা হয়। শিমুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রবি একই এলাকার আবুল হাসানের ছেলে। তিনি চক্রান্তের শিকার নজরুল ইসলাম কাজির ভাতিজা।
রবির চাচা নজরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, রবি ও তার বাহিনী রাত ৯টা থেকে আমার বাড়ির আশেপাশে আনাগোনা করে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ১৫ থেকে ১৬ জন সদস্যের র্যাবের একটি দল আমার বাড়িতে আসে। আমার দরজা খোলার জন্য অনেকবার বলেছেন। আমি ভয়ে প্রায় ২০ মিনিট পর দরজা খুলি।
পরে র্যাব সদস্যদের কাছে আমার অপরাধ জানতে চাইলে তারা বলেন, আমি নাকি বিভিন্ন মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। পরে আমি বলি, অপরাধী হলে শাস্তি পেতে রাজি আছি। আপনারা তল্লাশি করেন। সব তল্লাশি করার পরেও র্যাব আমার ঘর থেকে কিছুই পায়নি।
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, আমার ঘরের সামনে রবি ও জনি বসে ছিল। তারা বলে, স্যার গ্যারেজ তল্লাশি করেন। পরে তারা গ্যারেজ তল্লাশি করে একটার ভেতর থেকে কাপড়ে মোড়ানো পিস্তল বের করেন। তার ভেতরে দুই রাউন্ড গুলিও পায় র্যাব।
তিনি আরও বলেন, দুই মেয়েকে জমি বিক্রি করে লেখা পড়া করাচ্ছি। বড় মেয়েটা পাইলটের ট্রেনিং এ আছে। সেই মেয়েকে রবি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। রাজি না হওয়ায় আমাকে বিপদে ফেলতে উঠে পড়ে লেগেছে রবি। যে কাপড় দিয়ে পিস্তল পেঁচানো ছিল সেই কাপড় আমি রবির মায়ের গায়ে দেখেছি। পরে র্যাব রবিকেই ধরে নিয়ে যায়।
এএসপি জিয়াউর রহমান চৌধুরী জানান, রবির বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সে অস্ত্র দেখিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনা করে আসছিল। আটক রবি অস্ত্রধারী হওয়ায় সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলতে সাহস করত না। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।