[ষ্টাফ রিপোর্টার]

মিয়ানমার থেকে আসা মাদক ইয়াবার চালানের বড় একটি অংশ পাচার হচ্ছে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে। মাদক সিন্ডিকেট প্রবাসী বাংলাদেশিদের টার্গেট করে ইয়াবার চালান পাচার করছে। সেসব দেশে একশ্রেণির প্রবাসী বাঙালির সহায়তায় গড়ে তোলা হয়েছে ইয়াবাবাজার। বিশাল বিস্তৃতি ঘটানো হয়েছে মাদক নেটওয়ার্কের।

সৌদিতে বাঙালি অধ্যুষিত প্রায় প্রতিটি শহরেই চলছে ইয়াবার রমরমা বাণিজ্য। দেশে বসে কিংবা বিদেশ থাকা সেখানকার একাধিক সিন্ডিকেট প্রধানদের আওতায় প্রায় ৪ শতাধিক ছোট বড় সেলাররা রাতদিন মাদকসেবীদের কাছে ইয়াবা পৌঁছানোর কাজে ব্যস্ত থাকছেন।
সূত্র জানান, সৌদিতে মাদক সিন্ডিকেটের তৎপরতার কারণে সে দেশে অবস্থানরত বাঙালিদের মধ্যে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। করোনা মহামারিতে থেমে নেই ইয়াবার কারবার। বিগত দিনে লগডাউনের করনে কিছুটা সঙ্কট দেখা দেয়ায় ১০০ থেকে ১৫০ রিয়েলেও বিক্রি হয়েছে, সরবরাহ বেশী থাকলে ৪০-৫০ রিয়েলে তা পাওয়া যায় বলে জানায় প্রবাসীদের সূত্রগুলো। তাদের অনেকেই জানিয়েছেন, ইসলামী রীতিনীতিকে প্রাধান্য দিয়েই সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বিধিবিধান তৈরি হয়েছে।

সে দেশে মাদক কেনাবেচা, বহন ও মাদক আখড়া গড়ে তোলার বিরুদ্ধে কঠোর আইন রয়েছে এবং মাদক মামলায় সৌদিতে মৃত্যুদন্ড পর্যন্ত কার্যকর রয়েছে। তা ছাড়া মাদকবাজার গড়ে তোলার পেছনে বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগ উত্থাপিত হলে তা বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও দেশের শ্রমবাজার চরম হুমকির মুখে ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন সচেতন প্রবাসীরা। এদিকে মাদক পাচার ও বাজারজাতের ঘটনায় অনেক প্রবাসীর হাড়ভাঙা পরিশ্রমে উপার্জিত অর্থের বড় অংশই ইয়াবা বাজারে খরচ হয়ে যাচ্ছে। এর কারন পাচারকৃত মদক ইয়াবার খদ্দের মুলত বাংলাদেশী বিপথগামী প্রবাসীরাই। সাম্প্রতিক সময়ে সৌদিয়ান গুটি কয়েক নাগরিকরা যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট হিসেবে গ্রহণ করছে বলে জানা গেছে। আর তাদের ইয়াবার নেশা শেখাচ্ছে মাদকের বড় ডিলাররা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *