[ম্যাক নিউজ রিপোর্টঃ-নেকবর হোসেন
কুমিল্লা প্রতিনিধি]
করোনা প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার (২ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার দৌলতপুর, ধর্মপুর, চম্পকনগর (সাতরা) ও শাসনগাছা এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া আফরিনের নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় ১৬টি মামলা দিয়ে সংশ্লিষ্টদের নিকট হতে ৫৪ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অনেকে আবার আটকের পর মুচলেকায় ছাড়া পান। এছাড়া অকারণে রাস্তায় বের হওয়া লোকজনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার এএসআই হান্নান আল-মামুন ও অন্যরা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় সহায়তা করেন।
ইউএনও জাকিয়া আফরিন জানান, শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ওইসব এলাকায় লকডাউন কার্যকরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় দৌলতপুরে দারুন-নূর হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও শাসনগাছা উত্তরা আবাসিক এলাকায় মারকাজুল ফালাহ মাদ্রাসাকে ১০ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া সুগন্ধা ও পাপিয়া পরিবহনের ২টি বাস রাস্তায় যাত্রী পরিবহনের কাজে নিয়োজিত থাকায় ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। বাসগুলো ‘ফরিদ ফাইবার’ নামে একটি কোম্পানি ভাড়া নেয়ায় ওই কোম্পানিকেও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া হোটেল মালিক, সেলুন কর্মচারীসহ বিভিন্ন লোকজন বিধি-নিষেধ অমান্য করায় জরিমানা করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানকালে ১৬টি মামলায় ৫৪ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা ধার্য করে আদায় করা হয়। অকারণে বাইরে যাওয়া বন্ধে ও সরকারি নির্দেশনা মানাতে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) জেলায় ৩১১ মামলায় ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি ২ জনকে ৩ মাস করে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, লকডাউন কার্যকর করতে জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট ও মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের টহল ছিল চোখে পড়ার মতো। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ৮টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। এসব পয়েন্টে স্কাউটের সদস্যরাও পুলিশকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। কুমিল্লা নগর ও মহাসড়কে বিজিবি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর টিমকে টহল দিতে দেখা গেছে।