[ ম্যাক নিউজ রিপোর্টঃ- শাহাব উদ্দিন আহমেদ কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি]
কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্সদের অবহেলায় মাতৃহারা হল,১০ মাসের শিশু জানাযায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্সদের অবহেলায় সুমী বেগম (২২) নামের এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া যায়।
মা মারা যাওয়ার কারণে ১০ মাসের শিশুটিও হয়েছে মাতৃহারা। শিশুটির হাহাকারে ভারী হয়ে উঠে হাসপাতাল চত্বর।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বিকাল ৫ টায় এ ঘটনাটি ঘটে।সুমি আক্তার উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের মন্নান মিয়ার মেয়ে।
সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে নিহতের স্বজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজারের খলিলপুর ইউনিয়নের সরকারবাজার এলাকার এমরান মিয়ার স্ত্রী এক সন্তানের জননী সুমী বেগমের পেটব্যথা দেখা দিলে তাকে নিয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান সুমির স্বজনরা।
কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে মেডিক্যাল টেস্ট শেষে ওয়ার্ডে নিয়ে আসলে তার অবস্থা আশংকাজনক হয়। তা দেখে সুমির মা রাহেনা বেগম ও বাবা মন্নান মিয়া ডিউটিরত ডাক্তার ও সিনিয়র নার্সদের কাছে উন্নত চিকিৎসার জন্য বারবার হাত পা ধরেন মৌলভীবাজারে রেপার করার জন্য। কিন্তু তাদের কথার কর্ণপাত করেন নি ডাক্তারও-নার্সরা। দুপুর ১২টায় সুমির অবস্থার আরও অবনতি ঘটে
নার্স অনিতা সিনহা ও মিডওয়াইফ রত্না মন্ডল তাকে একটি ইনজেকশন পুশ করেন। এরপরপরই সুমি আর নড়াছড়া করে না সুমির মা বার বার ডিউটিরত ডাক্তার মুন্না সিনহা কে জিজ্ঞাসা করলে নার্সরা বিরক্তিস্বরে বলেন রোগী ঘুমিয়ে আছেন, ডিস্টার্ব করবেন না। বিকালেও সুমির নড়াচড়া না পেয়ে নার্সকে জানান। তখন নার্সরা ডাক্তার মুন্না সিনহাকে নিয়ে আসলে তিনি সুমিকে মৃত ঘোষনা করেন।
মৃত সুমির মা রাহেনা বেগম সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য হাসপাতালের নার্স এবং ডিউটিরত ডাক্তারাই দায়ী। আমরা তাদের বিচার চাই।
তবে ডিউটি ডাক্তার মুন্না সিনহা ও মিডওয়াইফ রত্না মন্ডলের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তাঁরা কথা বলতে ইচ্ছুক নয়,বলে জানান । প্রয়োজনে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করতে পারেন বলে সাংবাদিকদের বলেন ।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: সাজেদুল কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন,আর এ ঘটনায় যদি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কেউ দায়ী থাকে তাহলে আমরা আগামীকাল তদন্তক্রমে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব,।