[ম্যাক নিউজ রিপোর্টঃ-ম্যাক রানা কুমিল্লা।]
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে অমিত মজুমদার নামে এক সাংবাদিকে মারপিট ও লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ সংগ্রহে গেলে সেখানে তাকে মারপিট ও লাঞ্ছিত করেন হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আক্তার হোসেন।
সোমবার (৫ জুলাই) বিকেলে মেডিকেল কলেজের আঙিনায় স্থাপিত করোনা হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, ঘটনাটি তদন্ত করে অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টার আক্তারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা.রেজাউল করিম।
আহত সাংবাদিক অমিত জানান, সোমবার বিকেলে তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহের জন্য যান। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক থেকে অনুমতি নিয়ে তিনি করোনা ইউনিটের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে চাইলে ওয়ার্ড মাস্টার আক্তার প্রথমে তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। এক পর্যায়ে তাকে মারপিট করেন ওই ওয়ার্ড মাস্টার। এ সময় তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরে উপস্থিত আনসার সদস্যরা তাকে উদ্ধার করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওয়ার্ড মাস্টার আক্তার ওই হাসপাতালে একের পর এক অপকর্ম করে যাচ্ছেন। গত কয়েক মাস আগেও সংবাদ সংগ্রহে গেলে তিনি কুমিল্লার আরেক সাংবাদিকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এরপরও রহস্যজনক কারণে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি হাসপতাল কর্তৃপক্ষ।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টার আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি ওই সাংবাদিককে ছবি না তুলে হাসপাতাল থেকে চলে যেতে বলেছি। এর বেশি কিছু নয়।
এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা.রেজাউল করিম বলেন, অনাকাঙ্খিত যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। এরপরও ঘটনাটি তদন্ত করে ওয়ার্ড মাস্টার আক্তারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।