[ম্যাক নিউজ রিপোর্ট;-মাহফুজ বাবু কুমিল্লা]

সাম্প্রতিক সময়ে করোনার লকডাউন ও ঈদকে সামনে রেখে কুমিল্লার সীমন্ত এলাকায় বেড়েছে মাদক কারবারিদের আনাগোনা। সেই সাথে জেলা পুলিশের নজরদাড়িও বেড়েছে। কঠোর নজরদারীর ফলে প্রতিদিনই আটক হচ্ছে বিপুল পরিমান মাদক এবং ধরা পরছে চিহ্নিত মাদক কারবারিরা। মাদক বহনে নানা কৌশল অবলম্বন করেও গোয়েন্দাসহ পুলিশ ও র‌্যাবের জালে আটকা পড়ছে তারা।

সোমবার দুপুরে কুমিল্লায় ডিবি পুলিশের পৃথক অভিযানে গাঁজা ও ইয়াবাসহ ২ মাদক কারবারি আটক হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশে এসআই কামাল উদ্দিন ও এএসআই মাসুদ রানা সহ সঙ্গীয় ফোর্স বিশেষ পরিচালনা করে তাদের আটক করতে সক্ষম হয়।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই মাসুদ রানা এ বিষয়ে নিশ্চিত করে জানান, সোমবার কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানাধীন ছত্রখিল পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার ৫নং পাঁচথুবী ইউনিয়নের বামইল কলেজ গেইটের সামনে অভিযান চালিয়ে ১৮৫ পিস ইয়াবা সহ জেলার আদর্শ সদর উপজেলার দৌলতপুর (বালুতুপা) মনির মিয়ার ছেলে ফয়সাল আহমেদ (৩২) কে আটক করা হয়। আরেকটি পৃথক অভিযানে ৪নং আমড়াতলী ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৫ কেজি গাঁজা সহ চান্দিনার হারং এলাকার মৃত শংসর আলীর ছেলে মোঃ আবুল হোসেন (৫৫) আটক করে ডিবি পুলিশের একটি টিম। আটককৃতদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মামলা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।

এছাড়াও কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের আরেকটি অভিযানে পেটের ভেতরে (পাকস্থলীতে) করে বাহনের সময় ৬ হাজার ৫০০পিস ইয়াবাসহ ২নারী মাদক কারবারি সহ আটক ৪ জন। রবিবার দিবাগত সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার দাউদকান্দি মহাসড়ক এলকার টোল প্লাজায় সৌদিয়া বাসে তল্লাশি করে তাদের আটক করে পেটে এক্স-রে করে পেটে মাদক থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হলে উদ্ধার করা হয় মাদক।

এদিকে একই দিন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ৭৪ কেজি গাাঁজাসহ ‘ভদ্রবেশি’ মাদক ব্যবসায়ী মাসুদ রানা প্রকাশ গোলাম রসুলকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গোলাম রসুল(৫২) উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের আমানগন্ডা শালুকিয়া গ্রামের মৃত জুলফু মিয়ার পুত্র। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল আজিম।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে আমানগন্ডা শালুকিয়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মাসুদ রানা প্রকাশ গোলাম রসুলকে আটক করা হয়। পরে তার তথ্য মতে বাড়ির পাশে একটি মুরগির খামার থেকে ৭৪ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ বছর ধরে গোলাম রসুল মাদক ব্যবসায় করে আসছিল। মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সে ‘ভদ্রবেশি’ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। কারণ, অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীরা বারবার আটক হলেও গোলাম রসুল থেকে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে। প্রশাসন ও সাংবাদিকদের কতিপয় অসাধু ব্যক্তিকে ম্যানেজ করেই গোলাম রসুল নির্বিঘ্নে মাদক ব্যবসা চালাচ্ছিল। দীর্ঘদিন পর গোলাম রসুলকে আটক করায় গোয়েন্দা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, রোববার রাতে ডিবি পুলিশ বাদি হয়ে গোলাম রসুল নামের এক মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *