[ম্যাক নিউজ রিপোর্টঃ-হালিম সৈকত।]
কুমিল্লার তিতাস উপজেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতি একেএম কামরুল হাসান তুষার ও সাধারণ সম্পাদক খাইরুল খন্দকার রুবেল এর বিরুদ্ধে একের পর মিথ্যা ও বানোয়াট নিউজ প্রচার করে যাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল। তারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এহেন জঘন্য কাজগুলো করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন কামরুল হাসান তুষার। মনগড়া ও কাল্পনিক কাহিনী সাজিয়ে কোন ব্যক্তিকে ভয়ভীতি প্রর্দশন করে মিথ্যা কথা বলানোর নাম রাজনীতি না। সাংবাদিকদের ভূল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করা হচ্ছে এবং আমার সুনাম নষ্ট করার অপচেষ্টা করেছে আমার প্রতিপক্ষ গ্রুপটি।
গত ৯ আগস্ট তারিখের ঘটনার
প্রকৃত সত্য হলো আমি গাজীপুর গ্রামের রহমত আলী চাচার কাছে ছাত্রলীগের অফিসের জন্য রুম ভাড়া চেয়েছিলাম। তিনি বলেছেন বাবারে আমার মেয়ের জামাই দোকান করবে, যদি না করে তুমি দোকান ভাড়া পাবে। আমি উনার মেয়ের জামাইকে জিজ্ঞেস করায় সে বলল না সে দোকান করবে না। আমি আবার রহমত চাচার কাছে যাই। তাকে বলি চাচা আপনার মেয়ের জামাই তো ব্যবসা করবে না। তখন তিনি বলেন, বাবারে তুমি ভালো ছেলে জানি কিন্তু তুমি দোকান পাবে না। কারণ তোমাকে দোকান ভাড়া দিলে আমার বাড়ির গ্যাস লাইন ও বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দিবে? তোমাকে দোকান ভাড়া দিয়ে কি আমি বিপদে পড়ব?
পরে হঠাৎ করে ইকবাল নামে এক ভ্যান চালক এসে গালাগালি শুরু করে। তখন তিতাস উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তানহার সরকার বলেন, উনি তিতাস উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তুষার ভাই। তখন ইকবাল বলে তোদের কাছে সে নেতা আমার কাছে কিছুই না। এসব নেতাটেতা মানি না। এরপর আমি বলি ভাই আপনে কে? সে বলে ওঠে আমি দোকানের মালিক। আমি বললাম তাহলে কাগজ দেখান। এতটুকুই ঘটনাটি।
পরে একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচণায় পড়ে রহমত চাচা ৯৯৯ নম্বরে কল করলে পুলিশ আমাকে ডাকলে আমি থানায় গিয়ে বিস্তারিত বলি। কিন্তু রহমত চাচাকে পুলিশ ডাকলে তিনি থানায় হাজির হননি। আমি যখন থানায় এসআই আঃ করিম সাহেবের সাথে বসে আছি, তখন করিম সাহেব রহমত চাচাকে থানায় আসতে বললে তিনি বলেন আমি আসতেছিলাম তুষার আমাকে আসতে দিচ্ছে না। তখন এসআই আঃ করিম বলেন, ভাই কেন মিথ্যা কথা বলছেন তুষার তো আমার সাথে থানায় বসা। সে কিভাবে আপনাকে আসতে দিচ্ছে না? পরে রহমত চাচা থানায় না এসে কিছু পাতি নেতার কথায় মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন। যা ডাহা মিথ্যা ও বানোয়াট।
অপর একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে আমার আপন চাচা বলছেন, আমি নাকি তাকে বাড়ি থেকে বের দিয়েছি। ছাত্রলীগের সভাপতি হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করছি! আসলে সত্যটা হলো বাড়ির সীমানা নিয়ে চাচার সাথে সামান্য বাকবিতণ্ডা হয়েছিল ৬ মাস আগে। তিনি আমার জায়গা দখল করে রেখেছে সেটা বলা কি অপরাধ? তিনি বাড়িতে থাকেন না, গৌরীপুর ভাড়া বাসায় থাকেন। পৃথিবীর কোন শক্তি আছে তাকে তার বাড়ি থেকে বের করে দেয়? এলাকার লোকজন কি বলে প্রমাণ নেন। আমি ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছি একমাসও হয়নি। আর উনি গৌরীপুর বাসায় আছেন প্রায় ছয় মাস। তাহলে আমি কিভাবে ছাত্রলীগের প্রভাব দেখালাম?
তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রহমত মিয়া প্রথমে দোকান ভাড়া দিতে চাইলেও, পরে স্থানীয় কিছু নেতার চাপে রুম ভাড়া দিতে অস্বীকার করে।
এই বিষয়ে রহমত মিয়ার ভাই মধু মিয়া বলেন, আসলে তুষারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ আমি তখন ওখানে উপস্থিত ছিলাম। এবং দোকান ভাড়া নিতে তুষারের সাথে আমি রহমত মিয়ার বাড়িতেও গিয়েছিলাম। সেখানে তুষার রহমত মিয়ার কাছে অনুরোধ করেছে দোকান ভাড়া যাতে দেয়। রহমত মিয়ার সাথে কোন অসৌজন্যমূলক আচরণ করেনি তুষার।
বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তৃতীয় একটি পক্ষ বিষয়টিকে গোলাটে করেছে। তুষারের চাচা মোবারক হোসেন বলেন, আমি ফেইসবুকে প্রচারের বিষয়ে কিছুই জানিনা । দুইজন নেতা আমাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞেস করেছে কি হয়েছিল
তুষারের সাথে? তখন আমি বলি কিন্তু আমাকে না জানিয়ে এসব রেকর্ড করেছে। আমার সাথে ঘটনা ঘটেছে ৯ মাস আগে।