[ম্যাক নিউজ ডেস্ক]
ঘুষ গ্রহণ ও মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় সিলেটের সাবেক ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ গোপাল বণিকের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশও দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ আদেশ দেন।
এদিন আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন পার্থ গোপাল।
তার পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী। দুদকের পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে পার্থ গোপালকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর পার্থ গোপালের জামিন বাতিল করেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। সেই আদেশ অনুযায়ী পার্থ গোপাল বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
গত ১৭ জুন সন্ধ্যায় পার্থ গোপালের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর ২৩ জুন দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই আদালত তার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
১৯ আগস্ট পার্থ গোপালকে অস্বাভাবিকভাবে জামিন দেওয়ার ঘটনায় হাইকোর্টে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন। পরে মামলাটি বদলি করে বিশেষ জজ আদালত-৪ এ পাঠানো হয়।
২০১৯ সালের ২৮ জুলাই সকাল থেকে পার্থ গোপালকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেলে তার গ্রিন রোডের বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত বছর ২৪ আগস্ট একই কর্মকর্তা ডিআইজি পার্থের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। পরে ৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত।
পার্থ গোপাল ২০১৬ সালের ৮ আগস্ট চট্টগ্রামের ডিআইজি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। পরে তাকে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।