[ম্যাক নিউজ ডেস্ক]


হুমায়ুন কবির, সভাপতি, বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগ কর্তৃক আট বছর আগে অবসর গেলেও রাজধানীর শাহজাহানপুরে রেলওয়ে কলোনির সরকারি কোয়ার্টারে অবৈধভাবে বসবাস এবং কমলাপুর রেল স্টেশনের বুকিং শাখার কর্মচারীদের দায়িত্ব পালন না করে হাজিরা খাতায় অগ্রিম স্বাক্ষর প্রদানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ ২৩ জানুয়ারি তারিখে কমলাপুর রেল স্টেশন এবং শাহজাহানপুরের রেলওয়ে কলোনির সরকারি কোয়ার্টারে অভিযান পারিচালনা করেছে দুদক।

দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক, সহকারী পরিচালক ওমর ফারুক এবং উপসহকারী পরিচালক কামিয়াব নবী এর সমন্বয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিনে শাহজাহানপুরে রেলওয়ে কলোনিতে গিয়ে দেখতে পায় হুমায়ুন কবিরের বাসাটি (নম্বর সি/০৭) প্রকৃতপক্ষে তার ভাই মোসাদ্দেদ আলী ফেসানি’র নামে বরাদ্দ করা যিনি রেলওয়েতে বুকিং সহকারী হিসাবে কর্মরত আছেন। তবে উক্ত বাসা পরিদর্শনে দেখা যায়, জনাব ফেসানি’র নামে বরাদ্দ হলেও তিনি সেই বাড়িতে থাকেন না। নিয়মবহির্ভূত ভাবে সেখানে বসবাস করেন তার বড় ভাই জনাব হুমায়ুন কবির। দুদক টিম উক্ত বাসা বরাদ্দ সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করছে এবং নথিপত্র বিশ্লেষণ করে সংঘটিত অনিয়ম সম্পর্কে কমিশনে প্রতিবেদন প্রদান করবে।
অপরদিকে, কমলাপুর রেল স্টেশনের বুকিং শাখার কর্মচারীদের দায়িত্ব পালন না করে হাজিরা খাতায় অগ্রিম স্বাক্ষর করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুকিং শাখায় গিয়ে দেখা যায় সেখানে চলছে চরম অব্যবস্থাপনা। কর্মচারীরা ডিউটিতে না এসে অগ্রিম স্বাক্ষর প্রদান, রোস্টারে বিকালে ডিউটি থাকলেও সকালেই স্বাক্ষর করা, একই নামের বিপরীতে ভিন্ন ভিন্ন হাতের স্বাক্ষর ও হাজিরা খাতায় কাটা-ছেঁড়া, ফ্লুইড ব্যবহারসহ নানা অনিয়ম দুদক টিমের নিকট ধরা পড়ে। দায়িত্বে অবহেলা ও সার্বিক কার্যক্রম মনিটরে ব্যর্থতার জন্য দুদক টিমের সুপারিশের প্রেক্ষিতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের বুকিং শাখার বিভিন্ন পদমর্যাদার ০৬ জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা শুরু করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *