[ম্যাক নিউজ রিপোর্ট:- কুমিল্লা প্রতিনিধি]
মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় মাটি কাটার এক্সকাভেটর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মঞ্জুরুল হকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন একেএম সেলিম নামে এক ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় কুমিল্লার সিনিয়ির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫নং আমলি আদালতে তিনি এ মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ সালাউদ্দীন।
তিনি জানান, ক্ষতিপূরণ দাবি করে কৃষক সেলিম বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রামের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএস মঞ্জুরুল হকের বিরুদ্ধে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালতের বিচারক ফারহানা সুলতানা মামলা আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী একেএম সেলিম জানান, গত ১৯ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রাম জিগীরকান্দি এলাকায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে কুচক্রী মহলের ইন্দনে পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করেছেন ইউএনও। আমার ভাড়া করা ৪টি এক্সকাভেটর ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে পুড়ে ফেলেন তিনি। এর ফলে আমার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। খালের পাড়ের স্তুপের মাটি কাটার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড নিকট আবেদন করেছি। অনুমতির অপেক্ষায় ছিলাম। ঘটনাস্থল থেকে দূরে এক্সকাভেটরগুলো রাখা ছিল। সেখানে গিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। এ সময় আরেক ব্যক্তি প্রতিবাদ করায় তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। উক্ত ক্ষতিপূরণের দাবিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে খালের পাড়ের মাটি কারা কাটল এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কে বা কারা মাটি কেটেছে আমরা জানি না। তবে আমরা এক্সকাভেটর এনে অনুমতির অপেক্ষায় ছিলাম।
এ বিষয়ে জানতে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাএস এম মঞ্জুরুল হকে জানান, মামলাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত। খালের পাড় কেটে একেবারে সাবার করে ফেলেছে এ চক্র। অবৈধভাবে মাটি কাটার সময় এসব এক্সকাভেটর জব্দ করা হয়েছে। এ সময় মাটি বিক্রির অভিযোগে ২ ব্যক্তিকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।