[ম্যাক নিউজ ডেস্ক]

প্রায় আড়াই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. রমজান আলীর বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অবৈধ সম্পদের মধ্যে বসুন্ধরায় ৬তলা বাড়ি রয়েছে, যা আদালতের নির্দেশনায় ক্রোক করা হয়েছে। তদন্তকালে এসব সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। যদিও বাস্তবে ওই সম্পদের মূল্য বহুগুণ বেশি। বর্তমানে রমজান আলী আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েল গেজ প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

গত ২৫ জানুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. আলী আকবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন বলে জনসংযোগ দফতর জানিয়েছে।

এর আগে ২০২০ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েল গেজ প্রকল্পের বর্তমান পরিচালক রমজান আলীর বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে ২ কোটি ৪৩ লাখ ৮০ হাজার ২৮৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অবৈধ সম্পদের মধ্যে রাজধানীর বসুন্ধরায় (রোড-৬, ব্লক-এইচ এর বাড়ি- ৪৯৭) ৬তলা একটি বাড়ি রয়েছে। যা আদালতের নির্দেশনায় ক্রোক করা হয়েছে। যদিও সম্পদ বিবরণীতে ২ কোটি ৭০ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৬ টাকার সম্পদের ঘোষণা ছিল। যার মধ্যে উল্লেখিত সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পায়নি দুদক। তদন্ত প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় রমজান আলীর স্ত্রী আগা দিলরুবা পারভীন ইলোরার বিরুদ্ধেও ২০০৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১ কোটি ৮৫ লাখ ৮ হাজার ৬৫৬ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগে একই দিন মামলা দায়ের করা হয়। ইলোরার নামে অবৈধ সম্পদের মধ্যে জামালপুরে দুটি ৫তলা বাড়ি ও রাজধানীর বসুন্ধরায় ৩ কাঠার তিনটি প্লট রয়েছে। যার কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি দুদকের অনুসন্ধানে। যদিও হাইকোর্টের নির্দেশনায় মামলার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *