[ম্যাক নিউজ রিপোর্ট:- কুমিল্লা প্রতিনিধি।।]

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে হামলায় নিহত কৃষক ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা অজি উল্লাহর (৬০) পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন ফারুক। দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় আইটি ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন ফারুক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ কমিটির সদস্য। তাঁর বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের আতাকরা গ্রামে। গত দু’টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তিনি।


গত ৭ ফ্রেব্রুয়ারি মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের মড়হ গ্রামে অজি উল্লাহকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। এছাড়া সেদিন তার বাড়িতে লুটপাট চালায় দুর্বৃত্তরা। অজি উল্লাহ মড়হ গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে। তিনি মড়হ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে ছিলেন। এ ঘটনার পরদিন অজি উল্লাহর স্ত্রী শাহানারা বেগম লক্ষণপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মহিন উদ্দিন চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ ৩৩ জনকে আসামি করা হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দেলোয়ার হোসেন ফারুক বলেন, অজি উল্লাহর মতো তৃণমূরের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ। তারাই আওয়ামী লীগের দুর্দিনে মাঠে ছিলো। কিন্তু আমি অবাক হয়েছি তাকে পিটিয়ে হত্যা করার পর তার বাড়িতে সন্ত্রাসীরা লুটপাট করেছে। এতো বড় ঘটনার পরও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কোন নেতা তার পরিবারের পাশে দাঁড়ায়নি। মঙ্গলবার রাতে অজি উল্লার একমাত্র ছেলে মহসিন আমার সঙ্গে দেখা করতে আসে। আমি চেষ্টা করেছি আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর। আমি তাকে বলেছি- অন্য কেউ পাশে না থাকলেও আমি সব সময় পরিবারটির পাশে থাকবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও মনোহরগঞ্জের ঝলম উত্তর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ও যুবলীগ নেতা জমিস উদ্দিন।
এ বিষয়ে নিহত অজি উল্লার একমাত্র ছেলে মোহাম্মদ মহসিন বলেন, দেলোয়ার হোসেন ফারুক ছাড়া আমাদের পরিবারের পাশে অন্য কেউ এভাবে দাঁড়ায়নি। আমি বাবার খুনিদের ফাঁসি চাই।

ছবি: মনোহরগঞ্জে নিহত অজি উল্লাহর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন ফারুক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *