[ ম্যাক নিউজ রিপোর্ট:-আক্কাস আল মাহমুদ বুড়িচং]

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়নের খারেরা গ্রামে এক সন্তানের জননী শিল্পী আক্তার(২৪) এর রহস্যজনক মৃত্যু ও ময়নামতি ইউনিয়নের শরিফপুর এলাকায় চাচার নির্মানাধীন বিল্ডিংয় থেকে ফাহিম হোসেন (১৩) নামে দত্তক নেয়া এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২) রোববার সকাল ১০টার দিকে জেলার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়নের ফকির বাজার খারেরা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ঘর থেকে স্ত্রী শিল্পী আক্তারের লাশ উদ্ধার করে বুড়িচং থানার পুলিশ। সাইফুল ইসলামের বাবার নাম মৃত. আলী আশরাফ। নিহত শিল্পী আক্তার একই ইউনিয়রের পিতাম্বর গ্রামের আব্দুল খালেক মিয়ার মেয়ে। নিহত বাবার বাড়ির দাবি তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।

নিহত শিল্পী আক্তারের ৫ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। যার নাম সায়মা আক্তার। ঘটনার খবর শুনে বুড়িচং থানার ওসি আলমগীর হোসেনের নির্দেশনায় এসআই মামুন ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করেন।ময়নাতদন্তের জন্য নিহত শিল্পী আক্তারকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

অপরদিকে দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজি হাসান উদ্দিন জানান, রাত ৩টায় নির্মানাধিন একতলা একটি ভবনের কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন জানান, শরিফপুর মধ্যোপাড়া গ্রামের নিঃসন্তান কৃষক মন্তাজ উদ্দিন দীর্ঘদিন সন্তান না হওয়ায় ৫ মাসের শিশু ফাহিমকে দত্তক নেন। দীর্ঘ সাড়ে ১২ বছর ধরে নিজের সন্তানের মতই লালন পালন করে আসছিল তাকে। শনিবার মাগরিবের নামাজ পড়ে বাড়ীর গেইটের সামনে দাড়িয়ে ছিল। এরপর থেকে তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ফাহিমের পিতা মন্তাজ মিয়া ও মাতা জোহরা আক্তারসহ স্থানীয় লোকজন খুঁজাখুঁজি শুরু করে। না পেয়ে নিখোঁজের বিষয়টি রাত ১০টায় মসজিদের মাইকে প্রচার করা হয়। পরে রাত ২টায় মন্তাজ মিয়ার বাড়ির ৫০গজ উত্তরে বড় ভাই মতিন মিয়ার নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের গেইটের তালা খুলে ভেতরের একটি কক্ষে তার মরদেহ দেখতে পায়ে দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশকে খবর দেয়া হয়।

স্থানীয়রা জানায়, নিজের সন্তান না হলেও মন্তাজ মিয়া ফাহিমে ভবিষ্যৎ চিন্তা করে তার সকল সম্পত্তি স্ত্রী ও পালকপুত্র ফাহিমের নামে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি প্রতিবেশী ও স্বজনদের জানান মন্তাজ মিয়া। এ বিষয় নিয়ে মন্তাজের বড় ভাই মতিন মিয়া কিছুটা মনোক্ষুন্ন ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *