[ম্যাক নিউজ ডেস্ক]

এক কিশোরীকে আইনি সুরক্ষা দেয়ার কথা বলে নিজেই ধর্ষণ করেছেন পুলিশের এক এসআই। পুলিশের তদন্তেই ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণিত হয়। চার্জশিটভুক্ত আসামিও এই এসআই। তবে জামিনে বের হয়ে বেপরোয়া খায়রুল আলম। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি ও তার পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ভয়ে এক প্রকার পালিয়ে বেড়াচ্ছে তারা।

গত বছরের আগস্টে এই ভুক্তভোগী অভিযোগ দায়েরের জন্য রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় গেলে থানার এসআই খায়রুল আলম মীমাংসা করে দেয়ার কথা বলে সখ্যতা গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে নিকেতনের একটি বাসায় নিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতারও হন এসআই খায়রুল। পুলিশ তদন্ত করে বাদির অভিযোগ সত্য জানিয়ে আদালতে চার্জশিট দেয়। তবে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর অভিযোগ, জামিনে থাকায় আসামি প্রতিনিয়ত তাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। ওই এসআইয়ের ভয়ে বাড়ি থেকেও বের হতে পারছেন না তারা। এমনকি পেছনে লোক লাগিয়ে রাখারও অভিযোগ করছেন ওই ভুক্তভোগী।

তবে নিরাপত্তা নিয়ে চরম শঙ্কায় থাকলেও ন্যায়বিচারের আশা ছাড়েনি পরিবারটি। মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী সালমা আলী মনে করেন, অবিলম্বে ওই পুলিশ সদস্যের জামিন বাতিল করা উচিত। আর ওই অপরাধীর জামিন পাওয়ার কারণও তিনি বুঝতে পারছেন না বলে জানালেন তিনি।

গুলশানের ডিসি জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য যদি বাদীকে হয়রানি বা ভয়ভীতি দেখিয়ে থাকে, বাদী যেন থানায় অভিযোগ দেয়। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *