[ম্যাক নিউজ ডেস্ক]
কুষ্টিয়ার মিরপুরের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম। তার নিজের একটি সেমি-দোতলা বাড়ি রয়েছে। সন্তানরাও করছেন ভালো চাকরি। দৈহিকভাবে সক্ষম ও সচ্ছল ব্যক্তি তিনি। তারপরও তিনি মাসিক ৭০০ টাকা হারে প্রতিবন্ধী ভাতা গ্রহণ করছেন।
একই ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া গ্রামের মো. আসাদুল হক নিয়মিত প্রতিবন্ধী ভাতা উত্তোলন করে আসলেও সরেজমিনে তাকে প্রতিবন্ধী বলে মনে হয়নি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুদকের কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীলকমল পালের নেতৃত্বে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিন অভিযান চালায়। অভিযানে বেরিয়ে আসে এমন সত্যতা। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
অভিযানকালে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রকৃত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিবন্ধী ভাতার অর্থ প্রদান না করে অবৈধভাবে সুস্থ ব্যক্তিদের ভাতা প্রদানের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করে দুদক। এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযানকালে প্রতিবন্ধী ভাতা গ্রহীতাদের নামের তালিকা যাচাই-বাছাই করে। যাচাইকালে পরিলক্ষিত হয়, অনেক ব্যক্তি দৈহিকভাবে সক্ষম ও আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়া সত্ত্বেও প্রতিবন্ধী ভাতা গ্রহণ করছেন।
সরেজমিন পরিদর্শনে দুদক টিম দেখতে পায়, ৩ নং ওয়ার্ড বারুইপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, মিরপুর, কুষ্টিয়ার নুরুল ইসলাম একজন সচ্ছল ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও তিনি মাসিক ৭০০ টাকা হারে প্রতিবন্ধী ভাতা গ্রহণ করছেন। তার একটি সেমি-দোতলা বাড়ি রয়েছে এবং তার সন্তানরা ভালো চাকরি করছেন। এছাড়া একই ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া গ্রামের মো. আসাদুল হক নিয়মিত প্রতিবন্ধী ভাতা উত্তোলন করে আসলেও সরেজমিনে তাকে সার্বিক বিবেচনায় প্রতিবন্ধী মনে হয়নি।
দুদক টিম এলাকায় এমন কিছু ব্যক্তির সন্ধান পায় যারা অত্যন্ত দরিদ্র এবং শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও ভাতার তালিকায় নাম না থাকায় কোনো রকম সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। এ সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করার জন্য রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট টিম কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানা গেছে।