[ম্যাক নিউজ ডেস্ক]

বিকাশ, নগদ ও ব্যাংকের বিশেষ একাউন্টের মাধ্যমে অবৈধ লেনদেনে চলে পাসপোর্টের বেসিক সেন্ট্রাল ক্লিয়ারেন্সের কাজ। ই-পাসপোর্টের ক্ষেত্রে দুই হাজার টাকা থেকে শুরু করে সমস্যা অনুযায়ী অর্ধলাখ টাকা পর্যন্তও লেনদেন হয়। ক্লিয়ারেন্স বিভাগের কর্মরত কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাথে দালাল বা দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের রয়েছে নিয়মিত যোগাযোগ ও আর্থিক লেনদেনের যোগসূত্র।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রণজিৎ কুমার কর্মকার ও সাহিদুল রহমানের সমন্বয়ে ৩ সদস্যের এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে এমন সত্যতা মিলেছে। যে কারণে অভিযানকালে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মোবাইল ফোন ফরেনসিক পরীক্ষা করার জন্য জব্দ করে টিম।

সংস্থাটির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ আদনান অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক জানায়, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অধীনস্থ সমগ্র আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের জমা করা আবেদনের বেসিক সেন্ট্রাল ক্লিয়ারেন্সের কয়েকজন কর্মচারীর সহযোগিতায় গোপন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আর্থিক ও ঘুষ লেনদেন করে। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানের বিষয়ে জানা যায়, দুদক টিম অভিযোগ যাচাই ও সত্যতা উদ্ঘাটনের জন্য সরেজমিনে আগাঁরগায়ের পাসপোর্ট অফিসের প্রধান কার্যালয় এবং ই-পাসপোর্ট কমপ্লেক্স, উত্তরা অফিস পরিদর্শন করে। এ সময় তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মোবাইল ফোন ফরেনসিক পরীক্ষা করার জন্য জব্দ করা হয়।

অভিযানকালে বেসিক সেন্ট্রাল ক্লিয়ারেন্সে কর্মরত কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে দালাল বা দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের নিয়মিত যোগাযোগ ও আর্থিক লেনদেনের সত্যতা প্রাথমিকভাবে টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। বিকাশ, নগদ ও ব্যাংকের মাধ্যমে দুর্নীতির অর্থ লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। টিম এই দুর্নীতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে।

অভিযানকালে পাওয়া তথ্য-প্রমাণসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম দাখিল করবে বলেও জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *