[ম্যাক নিউজ ডেস্ক]
এবারের ঈদে চলাচল করা যানবাহনের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিলো দুই চাকার বাহন মটর সাইকেল। দূরের যাত্রায় পথে নেমেছিলো লাখ লাখ মটর সাইকেল।
দূরপাল্লার যাতায়াতে দুই চাকার বাহন সব সময়ই ঝুঁকিপূর্ণ। এবারের ঈদযাত্রা যেন সেটিরই প্রমাণ দিলো। গেলো কয়েক দিনে মটর সাইকেল দুর্ঘটনায় হতাহতের খবরও ছিলো বেশি।
তাই সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যানেও এগিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এই বাহন। ঈদের ছুটির চারদিনে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় কেবল ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালেই মারা গেছে ৬০ জন।
আর চিকিৎসা নিয়েছে আটশ’ জনেরও বেশি মানুষ। যাদের বেশিরভাগেরই বয়স ত্রিশের নিচে। সেই সঙ্গে ভর্তি হওয়া রোগীদের একটি বড় সংখ্যাই মোটরবাইক চালক, না হয় আরোহী।
ঈদযাত্রায় এমনই এক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন ৫০ বছরের সিরাজ। তিনি কুমিল্লায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হন। তার জখম ছিলো গুরুতর।
উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাকে আনা হচ্ছিলো রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে। কিন্তু আসার পথেই মারা গেছেন তিনি। এমন খবরে শুরু হয় স্বজনদের আহাজারি। মাটি হয় ঈদ।
আবার, বরিশাল সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে আনা হয়েছে ৩৫ বছর বয়সের এক যুবক। তিনিও আহত হন মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায়।
তবে সেই দুর্ঘটনায় তার দুই বন্ধু মারা গেছেন ঘটনাস্থলেই। এখন তার পা রক্ষা করা যাবে কিনা তা নিয়েই শঙ্কায় আছেন স্বজনরা।
ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এমন হতাহতের চিত্র অনেক। কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এবার ঈদের চারদিনে শুধু পঙ্গু হাসপাতালেই মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আর, চিকিৎসা নিয়েছে কমপক্ষে আটশ’জন। এখনও ভর্তি আছেন অনেকে। যাদের বেশিরভাগের বয়স ত্রিশের নিচে বলে জানালেন হাসপাতালটির সহযোগী চিকিৎসক ডা. সাগির আহমদ।
শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটের চিকিৎসকরা বলছেন, দুর্ঘটনায় হাত-পা বিচ্ছিন্ন হওয়া রোগীদের বিচ্ছিন্ন অঙ্গটি নিয়ম মেনে ছয় ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে আনা হলে সেটি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর পরিসংখ্যান বলছে, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন গড়ে ১৫ জন মানুষের মৃত্যু হয়। আর দুশ’রও বেশি মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে।