[ম্যাক নিউজ রিপোর্ট:-রাকিব হাসান বিশেষ প্রতিনিধি ঢাকা]

এলিট ফোর্স হিসেবে র‌্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে। সাম্প্রতিককালে প্রতারণার নতুন নতুন কৌশল ব্যবহার করে সাধারণ জনগনের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক শ্রেণীর প্রতারক চক্র। জঙ্গীবাদ, খুন, ধর্ষণ, নাশকতা এবং অন্যান্য অপরাধের পাশাপাশি সাম্প্রতিক এসব প্রতারক চক্রের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র‌্যাব সদা তৎপর।

 সম্প্রতি একজন নারী ভুক্তভোগী র‌্যাব-৪ বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন যে, সাভার থানাধীন কাউন্দিয়া এলাকার বাসিন্দা জনৈক আছমা খানম ওরফে শিল্পী এবং তার স্বামী শহিদুল ইসলাম এলাকার বিভিন্ন দরিদ্র নারীদের বিভিন্ন সরকারী প্রকল্প হতে ত্রাণ/ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক ও ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী সংস্থা হতে ঋণ নিয়ে নিজেরা আত্মসাৎ করে আসছে। এছাড়াও অভিযুক্তরা বিভিন্ন মেয়েদের কাছ থেকে চাকুরীর প্রলোভনের অর্থ আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত। প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪ এর একটি গোয়েন্দ দল উক্ত ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে ছায়া তদন্ত শুরু করে।

এরই ধারাবাহিকতায় ১৯/০৫/২০২২ তারিখ সকাল ১০.৫০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪ এর একটি অভিযানিক দল ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন কাউন্দিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অসহায় নারীদের সরকারী প্রকল্প হতে ত্রাণ বা ঋণ দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন এনজিও খেকে ঋণ উত্তোলন করে নিজেরা অর্থ আত্মসাৎ ও মেয়েদের বিভিন্ন অনৈতিক কর্মে নিয়োজিত করার অভিযোগে নিম্নোক্ত ০২ জন আসামী’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়ঃ

(ক) আসমা খানম শিল্পী (৩৮) জেলা- ঢাকা।
(খ) মোঃ শহিদুল ইসলাম (৫২) জেলা- ঢাকা।

উক্ত অভিযানে স্বর্ণের তৈরী ০১টি হাতের চুড়ি, ০২ টি কানের দুল, ৫৫ টি পাশ বহি, ভূক্তভোগীদের ৫০ টি জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, ০৩ টি চেক বহি, ০৬ টি রেজিস্টার, ০১ টি মোবাইল জব্দ করা হয়।  

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা উক্ত প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। উভয়ের পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক সাভার থানাধীন মধ্য কাউন্দিয়া এলাকার সাধারণ নারীদের বিভিন্ন চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে এবং ব্যবসার নামে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। এছাড়াও আছমা খানম নানা কৌশলে অল্প বয়সী মেয়েদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে দেহ ব্যবসায় নিয়োজিত করাসহ মেয়েদের বিক্রি করে দেওয়া এমনকি নারী পাচারের কাজে জড়িত।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে এরুপ প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে র‌্যাব-৪ এর জোড়ালো সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *