[ম্যাক নিউজ ডেস্ক]

রাজধানীর উত্তরায় ৩৩ হাজার পিস ইয়াবাসহ এরশাদুল হক (৩২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি কক্সবাজার জেলার সাবেক ক্রিকেটার বলে জানা গেছে। বুধবার বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহনা আলমগীরের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে উত্তরা পশ্চিম থানার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের ৩৩ হাজার পিস ইয়াবাসহ এরশাদুল হককে গ্রেপ্তার করে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিপার্টমেন্ট অব নারকোটিক্স কন্ট্রোল-ডিএনসি) ঢাকা উত্তরের একটি দল। গ্রেপ্তার এরশাদুল কক্সবাজার সদরের নুরুল হকের ছেলে।

এর নিয়ে বুধবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন করেন ডিএনসি ঢাকা মেট্রো (উত্তর) উপ-পরিচালক রাশেদুজ্জামান।

সংবাদ সম্মেলনে রাশেদুজ্জামান বলেন, রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় নৌপথে মিয়ানমার থেকে আনতেন ইয়াবা এরশাদুল। ঢাকার ডিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কখনো মাছের চালানের সঙ্গে ইয়াবা পাঠাতেন ট্রাকে, কখনো বাসে। মাছ পরিবহনের ট্রাকে ম্যাগনেট ব্যবহার করে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে ইয়াবা আনতেন ঢাকায়। তবে তিনি অধিকাংশ সময় নিজে বিমানে উড়ে এসে ঢাকায় সেই ইয়াবা রিসিভ করতেন। নিজেই ঢাকার ডিলারদের সঙ্গে করতেন লেনদেন।

তিনি আরও বলেন, এক মাস আগে এরশাদুলের সম্পর্কে তথ্য পায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার ইয়াবা কারবারের গডফাদার। পৈত্রিক সূত্রে তার রয়েছে মাছের ব্যবসা। তবে এর আড়ালে গত তিন বছর ধরে মিয়ানমারের ইয়াবা ডিলারদের সঙ্গে বিভিন্ন এনক্রিপটেড অ্যাপস ব্যবহারে যোগাযোগ করে ইয়াবার কারবার করছেন তিনি।

গ্রেপ্তারের পর এরশাদুল নিজেকে কক্সবাজার জেলার সাবেক অধিনায়ক বলে দাবি করেছেন। তবে কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, পাঁচ বছর আগে এরশাদুল জেলা ক্রিকেট দলে খেলতেন। তিনি কখনোই অধিনায়ক ছিলেন না। তিনি জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড়।

সংবাদ সম্মেলনে রাশেদুজ্জামান বলেন, আমরা প্রায় এক মাস আগে এরশাদুলের ইয়াবা সিন্ডিকেট সম্পর্কে অবগত হই। এরশাদুলের সঙ্গে সখ্যতা তৈরির জন্য আমরা সোর্স নিয়োগ করি। গত ২৪ অক্টোবর রমনা সার্কেলের পরিদর্শক তমিজ উদ্দিন মৃধা ক্রেতা সেজে দুই হাজার পিস ইয়াবা কেনার দেন-দরবার করার সময় এ চক্রের সহযোগী সদস্য হুমায়নকে তার স্ত্রীসহ ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়। হুমায়ন ও তার স্ত্রীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে এরশাদুলের অবস্থান সম্পর্কে অবগত হই।

জিজ্ঞাসাবাদে হুমায়ন জানায়, উখিয়া ও টেকনাফ এলাকার ইয়াবার মূল গডফাদার এরশাদুল। তিনি ইয়াবার একটি বড় চালান নিয়ে দুই একদিনের মধ্যে ঢাকায় অবস্থান করবেন। প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্নেষণ করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে মঙ্গলবার রাতে এরশাদুলকে ৩৩ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার এরশাদুল হক একটি সরকারি কলেজ থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *