[ম্যাক নিউজ রিপোর্টেঃ-নিজস্ব প্রতিবেদক]
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন চলাকালে আয়োজনস্থল টাউনহল ময়দানের বাইরে দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসময় গুলির শব্দও শোনা যায়। এই ঘটনায় প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক এম সাদেক রাবার বুলেটবিদ্ধ হয়েছেন, আহত হয়েছেন ১০ জন।
আজ শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে এই সংঘর্ষ বাঁধে। তবে কিছুক্ষণ পরই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সময় সম্মেলনে উদ্বোধকের বক্তব্য রাখছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সংঘর্ষে জড়ানো একটি পক্ষ সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের অনুসারী এবং আরেকটি পক্ষ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আঞ্জুম সুলতানা সীমার অনুসারী বলে জানা গেছে।
সমাবেশে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা গ্রুপের নেতা নুর উর রহমান মাহমুদ তানিম দাওয়াত পাননি। তিনি বলেন, ‘আমাকে সম্মেলনে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের বিষয়টি জানাই। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে আমি নেতা-কর্মী নিয়ে ফেরার পথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিনের নেতা-কর্মীরা আমাদের ধাওয়া দেয়। পরে রানীরবাজার এলাকার দিকে চলে যাই আমরা।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা সিটি মেয়র আরফানুল হক রিফাত বলেন, ‘সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতারা এসেছেন। আমরা সম্মেলনস্থলে আছি।’
জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, ‘দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। পুলিশ গুলি চালায়নি। সাংবাদিক কীভাবে আহত হলেন জানতে পারিনি। খবর নিয়ে দেখছি।’
সমাবেশের সভাপতিত্ব করেছেন কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আকম বাহাউদ্দীন বাহার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এবং বিশেষ বক্তা থাকবেন সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুর সবুর এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।